প্রেমের সাম্পানে ভাসছেন ক্যাটরিনা কাইফ ও ভিকি কৌশল। নতুন বছর আলিবাগে একসঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছেন বলিউডের এই লাভ বার্ডস। ফের একবার তাদের চুরি ধরে ফেললো ভক্তরা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ফিলটার ভিডিও পোস্ট করেন ক্যাটরিনা, যেখানে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরেছেন ক্যাট। তার মুখ দেখা যাচ্ছে না। শুধু হলুদ রঙের টি-শার্টটি স্পষ্ট। তবে বেশি সময় লাগেনি অনুরাগীদের, একই রকম টি-শার্ট যে ভিকি কৌশলের রয়েছে তা নিমেষেই জানিয়ে দেয় তারা।
বিজ্ঞাপন
প্রেমের বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি ভিকি-ক্যাটরিনা। তবে বলিউডের এই অভিনেকা ক্যাটরিনার সঙ্গে কি সত্যিই প্রেম করছেন ভিকি? জবাবে এক সাক্ষাৎকারে ভিকি বলেছিলেন, ‘প্রেম কোনও খারাপ জিনিস নয়, একটা দুর্দান্ত অনুভূতি। তবে সত্যি বলতে আমি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলতে চাই না।যদি আপনি কিছু বলেন তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে, লোকে সেটার নানান অর্থ বের করবে, সেটা নিয়ে আবার কিছু ভুল অর্থ বেরও করবে-গোটা বিষয়টা জটিল হয়ে যায়-আশা করছি সেটা আপনারা সম্মান করবেন।’
বলিউড তারকা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার রহস্যের জট ক্রমেই খুলছে। এই মামলায় ধরা পড়েছেন ৩০ বছর বয়সী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মুহাম্মদ রোহিলা আমিন ফকির। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত বাংলাদেশের নাগরিক। আজ ভোরবেলায় অভিযুক্তকে সাইফ-কারিনার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে সাইফের ওপর হামলার ঘটনাটি ‘পুনর্নির্মাণ’ করতে শরিফুলকে বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল বান্দ্রা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ কাকভোরে অভিযুক্তকে সাইফ-কারিনার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এক ঘণ্টা পর পুলিশ সেই হামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে এই বলিউড দম্পতির বাসা থেকে বের হয়েছিল। তার আগে হামলার পর যেখানে যেখানে শরিফুল থেমে ছিল, সেখানে তাকে নিয়ে গিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনের পুলিশ এখন শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিকেল চারটা নাগাদ অভিযুক্তকে বান্দ্রা পুলিশ স্টেশন থেকে বার করা হয়েছিল তদন্তের জন্য।
সাইফের ওপর যে ছুরি হামলা করা হয়েছিল, তার তৃতীয় টুকরা খুঁজে বার করার জন্য পুলিশ স্টেশনের বাইরে আনা হয়েছিল তাকে। পুলিশি তদন্তে সামনে এসেছে, শরিফুল ভারতীয় পরিচয়পত্র বানাতে চেয়েছিল। তাই চুরি করে তাড়াতাড়ি উপার্জন করার রাস্তা বের করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু পরে তার পরিকল্পনা বদলে যায়। এক ডান্স বারে কাজ করত শরিফুল। সেখানে গিয়ে পরিকল্পনা বদলায়। সে ভেবেছিল অনেক টাকা রাতারাতি উপার্জন করে বাংলাদেশে আবার ফিরে যাবে। আর তাই বান্দ্রার অভিজাত এলাকাকে বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত।
শরিফুল পুলিশকে জানিয়েছেন, সে চুরি করার উদ্দেশ্যেই সাইফ-কারিনার অ্যাপার্টমেন্টে গিয়েছিল। অভিযুক্তের দাবি, সে জানতো না এটা কোনো তারকার বাসা। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে সাইফ-কারিনার চার বছরের ছেলে জেহকে পণবন্দী করে এক কোটি টাকা আদায় করাই শরিফুলের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কারণ, মোটা অঙ্ক রাতারাতি কামিয়ে তিনি নিজের দেশ বাংলাদেশে ফিরতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশে ফেরার জন্য হামলাকারীর বড় অঙ্কের প্রয়োজন ছিল। এই হামলার অন্যতম সাক্ষী সাইফের বাসার ৫৬ বছরের নার্স এলিয়ামা ফিলিপ পুলিশকে জানিয়েছেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জেহর বিছানার দিকে এগোচ্ছিল। এলিয়ামা জানিয়েছেন, বাধা দিতে গেলে তার ওপর দুষ্কৃতকারী লাঠি ও ব্লেড দিয়ে আক্রমণ করেছিল। আততায়ীর সঙ্গে চিৎকার–চেঁচামেচিতে জেহর ঘুম ভেঙে গিয়েছিল।
জেহ ছুটে ঘর থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সবার হইচই শুনে ছুটে এসেছিলেন সাইফ। এরপর আততায়ীর সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়। সাইফ আততায়ীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার পর সবাই ঘর থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। আর হামলাকারীকে ঘরে বন্ধ করে রেখেছিলেন সাইফ। কিন্তু যে পথ ধরে এসেছিল, সেই পথ ধরেই পালিয়ে যায় সে।
পুলিশের ভাষ্য অনুসারে, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাত মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। মেঘালয়ের ডাউকি নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলো শরিফুল। পশ্চিমবঙ্গের কারও আধার কার্ড ব্যবহার করে সিমকার্ড নিয়েছিল অভিযুক্ত। এরপর মুম্বাইয়ে শরিফুল কাজের খোঁজ করছিল। মুম্বাইয়ে আসার পর শরিফুল নিজের নাম বদলে বিজয় দাস রাখে। অভিযুক্তের ব্যবহার করা সিমকার্ডটি খুকুমণি জাহাঙ্গীর সেখার নামে বলে জানা গেছে। শরিফুল নিজের আধার কার্ড বানানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তের মুঠোফোন তদন্ত করে জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের বেশ কিছু নম্বরে ফোন করেছিলো শরিফুল। তার পরিবারের সঙ্গে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখেছিল সে।
এদিকে পাঁচ দিন ধরে লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফ। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর প্রথম দিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। পরের দিন স্পেশাল বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল সাইফকে। আজ তিনি বিাড়িতে ফিরেছেন।
মার্কিন তারকা জাস্টিন ব্যালডোনি এবং ব্লেক লাইভলির দ্বন্দ্ব নিয়েছে নতুন মাত্রা। ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমায় অভিনয় করা নিয়ে প্রথমে কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে অপেশাজীবী আচরণের অভিযোগ আনেন তারা। ব্যাপারটি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কর্মক্ষেত্রের সেই বিরোধিতা এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।
অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি এবং তার স্বামী রায়ান রেনল্ডসের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন জাস্টিন ব্যালডোনি। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কের ফেডেরাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা ফাইল করা হয়। মূলত এইসব ঝামেলা শুরু হয় গত বছর আগস্টে প্রকাশিত জাস্টিন এবং ব্লেক অভিনীত ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমা সেট থেকে।
জাস্টিন বলেন, ‘ব্লেকের সঙ্গে সিনেমার শ্যুটিং চলাকালেই নানাকারণে মতবিরোধিতা হতে থাকে। সেই কারণেই ব্লেক চাইতেন আমার ইমেজ নষ্ট করতে। ব্লেক ইচ্ছাকৃতভাবে মজার ছলে বলা কথাকেও অভিযোগপত্রে গুরুতর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া ব্লেকের স্বামী রায়ান তার গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমায় আমার লুকের হাস্যরসাত্মক ব্যবহার করেছেন।’
‘ডেডপুল এন্ড উলভারিন’ সিনেমায় নাইসপুল চরিত্রটির মাধ্যমে জাস্টিনের চেহারাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাস্টিন। এছাড়া ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমা প্রচারের পর জাস্টিনের নামে মিথ্যা মামলা করে তাকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে ব্লেক। এমনকি তার নামে ৮০ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ আদালতে জমা দিয়েছেন ব্লেক। নিউ ইয়র্ক টাইমের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেছেন জাস্টিন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ব্লেক লাইভলি ক্যালিফোর্নিয়ার সিভিল রাইটস ডিপার্টমেন্টে একটি অভিযোগ করেন। ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। সিনেমার অভিনেতা ও পরিচালক জাস্টিন ব্যালডোনি এবং প্রযোজক জেমি হিথের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ আনেন ব্লেক।
ব্লেক উল্লেখ করেন, তার ওজন নিয়ে আপত্তিকরভাবে কথা বলেন জাস্টিন। জোর করে চুম্বন করা এবং সিনেমার দৃশ্য ধারণের সময় ঘনিষ্ট দৃশ্যের অযাচিত ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি দৃশ্য সম্পর্কে আলোচনা করার সময় অন্য নারীদের যৌন ভিডিও দেখিয়েছেন জাস্টিন-এরকম অভিযোগ এনে ৮০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়। এরপর জাস্টিন এবং হিথের দিক থেকে এর জবাবে জানানো হয়, সব অভিযোগই মিথ্যা। সেই থেকেই দ্বন্দ্ব গুরতর হতে থাকে।
জাস্টিন বলেন, তার কোমড়ে চোট আছে। ডাক্তার বেশি ভারী জিনিস বহন করতে না করেছেন। একটি দৃশ্যে ব্লেককে কোলে তুলতে হতো বিধায় জাস্টিন তার ওজন জিজ্ঞেস করেছিলেন। তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। ব্লেক চাইছিলেন সিনেমার ক্রিয়েটিভ টিমে তার নাম যোগ করা হোক। তা করা হয়নি, সেই ক্ষোভ থেকেই জাস্টিন এবং হিথের সংস্থাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রযোজক হিথ তার স্ত্রীর সন্তান প্রসবের একটি ভিডিও ব্লেককে দেখিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বইয়ের থেকে সিনেমায় ব্লেকের লিলি চরিত্রের সন্তান প্রসবের দৃশ্যটিতে কিছুটা ভিন্নতা আসুক। তাছাড়া সিনেমায় প্রযোজক বা নির্মাতা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত না থাকলেও, ব্লেক অনেক জায়গায় নিজের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেছেন। যেমন, সিনেমায় ব্লেকের চরিত্র ‘লিলি’র পোশাক বাছাই ব্লেক নিজে করেছেন, মূল বইয়ের গল্পের সঙ্গে যা কিছুটা বেমানান মনে করেছেন নেটিজেনরা। তাই ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ গল্পের পাঠকরাও কিছুটা নাখোশ হয়েছেন।
এভাবেই দুই তারকার মধ্যে মারাত্মক কলহের সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষই একে অপরের ব্যাপারে অভিযোগ ও মামলা করছেন। ভক্তরাও এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশ চিন্তিত। অথচ বিখ্যাত এই উপন্যাসের গল্পে নির্মিত সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সিনেমাটির এই অবধি বিশ্বব্যাপি আয় ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। এখন এই দ্বন্দ্বের শেষ কোথায় গিয়ে হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
দেশের অন্যতম মেধাবী নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘রিকশা গার্ল’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৪ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হাফ স্টপ ডাউন অনলাইনে প্রকাশ করলো এই চলচ্চিত্রের প্রথম মিউজিক ভিডিও ‘কোন লাটাইয়ে উড়বা ঘুড়ি’। বাংলাদেশের রিকশাচিত্র ও রিকশাশিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলির নিদর্শন হিসেবে প্রকাশিত হলো এই গানটি।
‘রিকশা গার্ল’ চলচ্চিত্রটি একজন স্বপ্নবাজ তরুণী নাঈমার গল্প, যে জীবিকার তাগিদে ঢাকা শহরে রিকশাচালক হিসেবে কাজ করে এবং একসময় রিকশাচিত্র এঁকে সে তার স্বপ্নপূরণ করে। নাঈমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান।
‘কোন লাটাইয়ে উড়বা ঘুড়ি’ গান হলেও এটি নাঈমার স্বপ্নপূরণের পথে তার সংগ্রাম ও সফলতার প্রতি একটি প্রার্থনা। ২০২৩ সালে ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় রিকশাচিত্র ও রিকশা, যা বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের এক অনন্য গৌরবময় পরিচয় হিসেবে এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। মিতালি পারকিন্সের একই নামের উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী রিকশাচিত্রের কল্পনাপ্রবণ জগতকে এই চলচ্চিত্রে নাঈমার শিল্পীসত্তার মাধ্যমে বাস্তবতার সঙ্গে মিশিয়ে গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক মো. আসাদুজ্জামান সকাল বলেন, ‘‘রিকশা গার্ল আমাদের মনের মতো একটি কাজ এবং এটি শিশুদের বড় স্বপ্ন দেখার জন্য অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশি রিকশাগুলো বিশ্বের যেকোনো জায়গার থেকে আলাদা; এর রঙিন, কল্পনাময় চিত্রগুলো বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের জন্য গর্বের প্রতীক। চলচ্চিত্রের প্রথম প্রকাশিত মিউজিক ভিডিওটির মাধ্যমে আমরা এই শহুরে-লোকজ ঐতিহ্য, কারিগরি দক্ষতা ও সৃষ্টিশীলতাকে সম্মান জানাতে চেয়েছি। ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের অগ্রগতির কারণে রিকশাচিত্রের চল এখন প্রায় নেই বললেই চলে; আমাদের চলচ্চিত্র ‘রিকশা গার্ল’-এর মাধ্যমে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি, এটি বিশ্বজুড়ে যেমন সবার মন ছুঁয়েছে, তেমনিভাবে নাঈমার নিজ দেশের মানুষেরও হৃদয় স্পর্শ করবে।’’
ডিজিটাল মিডিয়ায় রবিন রাফান, যার আসল নাম ওবায়দূর রহমান। তার সৃজনশীল কাজের জন্য ‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫‘-এ বেস্ট কনটেন্ট ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।
‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ আয়োজন করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোজ করোনায় পার্ক কুইন্স থিয়েটারে। এই অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় শোবিজ তারকারা উপস্থিত ছিলেন
পুরস্কারটি গ্রহণ করার পর রবিন রাফান বলেন, ‘এই সম্মাননা আমি কখনো কল্পনা করতে পারিনি যখন আমি প্রথম কনটেন্ট তৈরি শুরু করি। আমি গর্বিত যে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি এবং আমাদের গল্পগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারছি। এই পুরস্কারটি আমি আমার সকল সমর্থক এবং ঢালিউডের সকল শিল্পীদের প্রতি উৎসর্গ করছি, যারা আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণীত করেন।’
‘ঢালিউড ফিল্ম ও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ চলচ্চিত্র, সংগীত এবং ডিজিটাল কনটেন্টে অসাধারণ প্রতিভাদের স্বীকৃতি জানানো হয়। ওয়েব ফিল্মে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অভিনেতা মামুনুন ইমন তার ‘মায়া’ ওয়েব ফিল্মের জন্য, ‘গাঁইয়া’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, বেস্ট ওয়েব সিরিজে সেরা অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব তার ‘গোলাম মামুন’ ওয়েব সিরিজের জন্য এবং সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার পেয়েছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া। টিভি নাটকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান সাফা কবির তার ‘বেড নং ৩’ নাটকের জন্য।
চলচ্চিত্র অভিনেতা অমিত হাসানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিন রাফানের দক্ষতা তাকে বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক দর্শকদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম করেছে। তিনি ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দর্শকদের একত্রিত করার শক্তি প্রদর্শন করেছেন। তার কাজ শুধু শিক্ষামূলক কনটেন্টই নয়, বাংলাদেশির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও তুলে ধরে। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে তিনি টিকটক অফিশিয়াল আয়োজিত প্রথম টিকটক অ্যাওয়ার্ডস-এ ‘বেস্ট লং ফ্রম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর’ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে রবিন রাফান এখন বাংলাদেশে নবাগত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বিষয়ক শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া ভবিষ্যতে, রবিন রাফান আরও বেশি প্রকল্প নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন যা বাংলাদেশি সৃজনশীলতা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার তার মিশন আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, রবিন রাফানের আগামী বইটি কনটেন্ট ক্রিয়েশন এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার নিয়ে, যা এ বছরের একুশে বইমেলায় ‘বর্ষাদুপুর’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হবে। এই বইটির প্রি-অর্ডার চলছে বেশ কয়েকটি বই বিক্রির ওয়েবসাইটে, যেমন rokomari.com, pbs.com.bd, boisodai.com , walilife.com ইত্যাদিতে।