করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে নানাভাবে অসহায়দের পাশে থেকেছেন সোনু সুদ। কখনও অভিবাসী শ্রমিকদের নিজ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে, কখনও ক্ষুদার্থের মুখে খাবার তুলে দিয়ে আবার কখনও বা টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়ে যেনো সকলের কাছে ‘মাসিহা’ হয়ে গিয়েছেন বলিউডের এই তারকা।
ক্রমেই বেড়ে চলছে সোনু সুদের প্রতি মানুষের মুগ্ধতা। তাইতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নিত্যনতুন পোস্টের দিকে এখন নজর থাকে সকলের।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সোনু সুদ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, খোলা আকাশের নিচে বসে সেলাই মেশিনে বসে দক্ষ হাতে কিছু একটা সেলাই করছেন তিনি।
এর ক্যাপশনে মজা করে সোনু লিখেছেন- “এখানে বিনামূল্যে সেলাই করা হয়। কিন্তু প্যান্টের জায়গায় নিকার হয়ে গেলে সে গ্যারান্টি আমার নয়।”
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই সোনুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। একজন লিখেছেন, “আপনার মতো মানুষ আমি জীবনে দেখিনি। আপনার কঠোর পরিশ্রম, অন্যের পাশে দাঁড়ানো আমাকে বরাবরই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।”
কিছুদিন আগে প্রকাশ পেয়েছে সোনুর নতুন বই ‘আই অ্যাম নট দ্য মসিহা।’
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে যারা অনুসরণ করেন তারা জানেন, পরীর নানা তার জীবনে কতোটা জায়গা জুড়ে ছিলো। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হওয়া পরীর মা-বাবা সবটাই হয়ে উঠেছিলেন স্কুলশিক্ষক নানা।
তাইতো প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পরীমণি যখন ঘটা করে জন্মদিন পালনের রীতি শুরু করলেন, তখন নানার হাত ধরেই কেকটা কাটতেন।
তবে আজ জন্মদিনে নানাকে পাশে পেলেন না পরী। প্রায় এক বছর হতে চলল পরীর নানা পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন।
তাইতো নানাকে ছাড়া এবার জন্মদিনে কোন আয়োজনই রাখেননি পরী। প্রতিবারের মতো বড় হলরুম ভাড়া করে ধুমধাম তো দূরের কথা, নিজের জন্য বিশেষ থিমের পোশাকও বানাননি।
তারপরও পরীকে ভালোবাসেন বা তাকে ক্যাশ করে চলেন- এমন মানুষও তো কম নেই! তারা ঠিকই জন্মদিনের প্রথম প্রহরে পরীর বাসায় হাজির হন। শুধু তাই নয়, যতোটুকু পেরেছেন নায়িকাকে সারপ্রাইজ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। পরীর খাবার টেবিল ভরে যায় নানা আকার আকৃতির অনেকগুলো কেকে।
এসব দেখে আনন্দে কান্না করেন পরী আর মনে মনে নানাকে স্মরণ করতে থাকেন। সেই কান্নাভেজা চোখ নিয়েই চলে আসেন ফেসবুক লাইভে। বলেন, আমি বেশ অসুস্থ, হয়তো আমার কথা শুনেই আপনারা টের পাচ্ছেন। তারপরও জন্মদিনের কিছুটা সময় আপনাদের সঙ্গে না কাটিয়ে থাকতে পারলাম না। তবে আমি ভাবিনি এতো রাতেও এতো মানুষ আমাকে একসঙ্গে দেখবেন, আমাকে জন্মদিনের এতো শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাবেন। আসলে আমি এবার জন্মদিনে কোন আয়োজন করিনি। এমনকি কেক পর্যন্ত কাটতে চাইনি। নানুকে ছাড়া কেক কাটার কথা ভাবতেও পারি না। কিন্তু এই ভালোবাসার মানুষরা যেভাবে আমাকে উৎসাহ দিয়েছে তাতে কেক না কেটে পারলাম। তবে কেকটা কাটছি আমার ফেসবুকের ১৬ মিলিয়নের পরিবারের জন্য। তারা হলেন আপনারা। আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে আমি এতোদূর এসেছি। আপনারা সব সময় আমার পাশে যেভাবে থেকেছেন, ভালোবাসা বিলিয়েছেন তাতে আমি ঋনী।’
এরপর পরী তার ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে নির্মাতা চয়ণিকা চৌধুরীর হাত ধরে একে একে সবকটি কেক কাটেন। জন্মদিনের সবচেয়ে বড় কেকটিতে লেখা ছিলো ১৬ মিলিয়ন ফেসবুক ভক্তর কথা।
লাইভে এসে শুধু জন্মদিনের কথাই বলেননি পরী। নিজের আসন্ন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এর প্রচারণাও চালান সুযোগ বুঝে। অনম বিশ্বাস পরিচালিত হইচই অরিজিনাল সিরিজটি আগামী ৮ নভেম্বর উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে।
জন্মদিনের সেই আয়োজনে পরীর সঙ্গে ছবি তুলেছেন চয়নিকা চৌধুরী। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে অন্তরে। আর এই গভীর ভালোবাসা থাকবে অনন্তকাল জুড়ে যতদিন আমি বেঁচে থাকবো। তা তুমিও জানো, আমিও। আজ একটি বিশেষ দিন। তোমার জন্মতিথি। শুভ জন্মদিন মা। তুমি সুন্দর। তোমার সুন্দর ভাবনার মতই হোক তোমার পৃথিবী। যেখানে থাকবে প্রশান্তি, মায়া, ভালোবাসা, আস্থা, সুস্থতা আর নিরাপদ জীবন। হাসিখুশি আর আনন্দে আনন্দে কেটে যাক তোমার আগামীর পথ চলা তোমার মনের মত করেই। অনেক প্রার্থনা, দোয়া, আশির্বাদ তোমার জন্যে, তোমার সন্তানদের জন্য। যতদিন এই পৃথিবীতে আছি, পাশে ছিলাম থাকবো। তোমার আমার অনেক স্মৃতি। সেই পথ চলার স্মৃতিগুলো সবসময় চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আবারো শুভ জন্মদিন তোমাকে। অনেক ভালোবাসা আর মঙ্গল কামনা।’
সাধারনত জনপ্রিয় তারকাদের জন্মদিনে ফেসুবক ভরে ওঠে অন্যান্য তারকাদের শুভেচ্ছা পোস্টে। কিন্তু পরীকে চয়নিকা আর দু-একজন বাদে শোবিজের তেমন কেউ সেভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেননি। এর কারণ অবশ্য অজানা।
‘টারজান’ চরিত্র দিয়ে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পাওয়া অভিনেতা রন এলি আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গতকাল (২৩ অক্টোবর) অভিনেতার মেয়ে ক্রিশ্চেন কাসালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে বাবার মৃত্যুর কথা জানান। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করেননি।
ইনস্টাগ্রামে ক্রিশ্চেন কাসালে বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন এমন একজন, যাকে মানুষ হিরো বলত।’
দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় লস আলামোসে নিজ বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন রন এলি। তার মৃত্যুর প্রায় একমাস পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো।
অভিনেতার পাশাপাশি রন এলি ছিলেন একাধারে একজন লেখক, প্রশিক্ষক ও মেন্টর।
ষাটের দশকে বেশকিছু জনপ্রিয় টিভি শো উপস্থাপনা করেছেন রন এলি। পাশাপাশি জনপ্রিয় সিরিজ ও সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে তাকে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে ‘টারজান’ চরিত্রটি।
১৯৩৮ সালে টেক্সাসে অভিনেতার রন এলির জন্ম। অভিনয় জীবনের শুরুর দিকে সিটকম ‘ফাদার নোজ বেস্ট’, ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিয়নিয়ার’ ও ‘দ্য মেনি লাভস অব ডোবি গিলিস’র মতো জনপ্রিয় টিভি শোয়ে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ১৯৬৬ সালে টারজান-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান এই অভিনেতা। ‘টারজান’ ছাড়াও তার অভিনীত ‘ডক স্যালেজ: দ্য ম্যান অব ব্রোঞ্জ (১৯৭৫)’ দারুণ সাড়া ফেলে। তিনি মিস আমেরিকা ১৯৮০-৮১ সিজনটি উপস্থাপনা করে আলাদা পরিচিতি পান।
মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার। দেশ নাটকের ‘পারো’ নাটকটিতে একক অভিনয় করেন তিনি। আজ (২৪ অক্টোবর) নাটকটির ৯ম মঞ্চায়ন হবে। সন্ধ্যা ৭ টায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মিলনায়তনে একক অভিনয় নিয়ে মঞ্চে উঠবেন সুষমা।
এর আগের শোগুলোতে তার অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। শোবিজের জনপ্রিয় তারকারাও তার নাটকটি দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। ‘পারো’ নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাসুম রেজা।
সুষমা সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘থিয়েটারের প্রায় সব অভিনয়শিল্পীর জীবনে যে কটা গোল থাকে তার একটি হলো একদিন তিনি একক নাটকে অভিনয় করবেন। একাই একটি গল্পের সবগুলো চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন। একাই পুরো মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াবেন তার এতোদিনের অভিজ্ঞতা, ডেডিকশন আর চর্চার ওপরে সাওয়ার করে। কিন্তু গুটিকয়েক শিল্পী এই সুযোগ পান। আমাদের ‘দেশ নাটক’ থেকে প্রথম একক নাটক এই ‘পারো’। নাটকটি মূলত নাট্যকার ও নির্দেশক মাসুম রেজা রচনা করেছেন বন্যা মির্জার কথা ভেবেই। তিনিই নাটকটির প্রথম দুটি শো করেছেন। এরপর আমি নাটকটিতে অভিনয় করছি। একক নাটক করতে গিয়ে প্রতি শোয়ের আগে একদিক থেকে যেমন দারুণ আনন্দ হয়, অন্যদিকে খুব নার্ভাস লাগে। কেমন পারফর্ম করবো? দর্শক কতোটা উপভোগ করবে- এসব নিয়ে এক ধরনের চাপ থেকেই যায়।’
‘পারো’ একজন মধ্যবিত্ত পেশাজীবী নারীর গল্প। হাফ ডজনের বেশি চরিত্র রয়েছে নাটকটিতে। এর গল্পে যে কনফ্লিক্টগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো সমাজের দৃষ্টিতে ছোট ছোট সমস্যা। অনেকে মনে করতে পারেন এ নিয়ে পারো কেন এতো বেশি রি-অ্যাক্ট করছে?
এ প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা একদমই ঠিক বলেছেন। পারো খুবই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একটি মেয়ে। তার মানে এই নয় যে, সে অনেক বেশি অধিকার চায়, জীবনটাকে সম্পূর্ণ নিজের মতো করে সাজাতে চায়। সে আসলে একজন মানুষের যতোটুকু পাওনা সমাজের কাছে ঠিক অতোটুকু নিয়েই বাঁচতে চায়। কিন্তু সেটাও কি আমাদের সমাজ নারীদেরকে দেয়? আমি হলফ করে বলতে পারি, রাজধানীর বাসে চড়া প্রতিটি নারী আনকম্ফোর্টেবল সিচুয়েশনে পড়েন কোন না কোন সময়। অনেক নারীই স্বামীর দ্বারা, বসের দ্বারা, বাড়িওয়ালার দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে নির্যাতিত হন। শারীরিক, মানসিক- এই নির্যাতন প্রতিদিন নারীর ভেতরের ‘আমি’কে ক্ষত বিক্ষত করে। সুতরাং ২০২৪-এ এসে আমরা শুধু বড় ইস্যু হিসেবে যেগুলো গণ্য সেগুলো নিয়ে কথা বলব, তা কিন্তু নয়। সময় এসেছে নারীর ছোট বড় সব ইস্যু নিয়ে কথা বলার। কারণ সমাজে টক্সিক রিলেশনশীপ এতোটাই প্রকট হচ্ছে যে এ নিয়ে এখন কথা না বললে বড্ড দেরী হয়ে যাবে।’
এ বছর মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের নির্মাতা আসিফ ইসলামের সিনেমা ‘যাত্রী’। এবার নিজের তৃতীয় চলচ্চিত্র নিয়ে আসছেন এই নির্মাতা। ছবির নাম ‘যাত্রী’। ছবিতে নায়িকা হচ্ছেন সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
গত মঙ্গলবার খবরটি জানিয়েছেন আসিফ ইসলাম ও ঐশী তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন সবাইকে। ঐশী ছাড়া অন্য কোনো শিল্পীর ব্যাপারে এখনই কিছু জানাননি পরিচালক। তবে এটুকু জানা গেছে, শহরকেন্দ্রিক একটা গল্প নিয়ে হবে ‘যাত্রী’।
এদিকে, দীর্ঘদিন ভালো সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ঐশী আসিফের মতো গুণী নির্মাতার চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দারুণ আনন্দিত। তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘নূর’, যার শুটিং ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হয়েছে। এই ছবিতে তার নায়ক আরিফিন শুভ। ছবিটির মুক্তির ব্যাপারে এখনো কিছুই জানা যায়নি। নতুন ছবি প্রসঙ্গে বললেন, ‘মাস ছয়েক আগে আসিফ ভাইয়ের প্রথম কথা হয়। গল্পটা শুনে ভালো লাগে। এরপর আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। ভেবেছি আমাকে হয়তো আর নেবেনই না। পরে দেখি, তিনি মস্কো উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। কদিন আগে আবার যোগাযোগ করলেন। চূড়ান্ত আলাপ শেষে আমাকে চুক্তিবদ্ধ করেছেন।’
ঐশী জানালেন, মাস খানেকের মধ্যেই শুটিংয়ে নামবেন তারা। প্রি-প্রডাকশনের অল্প কিছু কাজ বাকি, সেটাই আপাতত সেরে নিচ্ছেন নির্মাতা। আর ঐশী নিজেকে প্রস্তুত করছেন চরিত্রের জন্য। ছবির গল্পের প্রয়োজনে শীতের আবহ থাকতেই শুটিং করা হবে। তবে সে গল্প সম্পর্কে কোনো তথ্যই প্রকাশ করা নিষেধ।
লম্বা অপেক্ষার পর কী ভেবে আসিফের ‘যাত্রী’ হতে রাজি হলেন? ঐশীর জবাব, ‘আসলে ভালো একটা কাজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাই এত লম্বা গ্যাপ। সবাই বারবার নতুন কাজের খবর জানতে চাচ্ছিল। কিন্তু আপডেট দিতে না পেরে নিজের কাছেও খারাপ লাগছিল। ফাইনালি এ কাজটা চূড়ান্ত হলো। প্রথমত এই ছবির চিত্রনাট্য খুবই সুন্দর। আর আসিফ ভাইয়া মস্কো উৎসব থেকে পুরস্কার জিতে আসার পর তার ওপরও আমার আস্থা বেড়ে গেছে। সেভাবেই মনে হয়েছে, তার নির্মাণে ভালো কিছুই হবে।’
নির্মাতা আসিফ ইসলাম বললেন, ‘ভালোবাসার গল্প। এই ধারার ছবি আগে আমি বানাইনি। অনেক আগে গল্পটা লিখেছিলাম কিন্তু বানানো হয়নি। ভালোর জন্যই হয়তো হয়নি। রেখে দিয়েছিলাম। গল্পটার মূল জায়গাটা হচ্ছে এর বলার ধরন। ভালোবাসার গল্প আমরা অনেকেই দেখি, এটার ক্ষেত্রে একই গল্প দুই প্রেক্ষাপটে বলার চেষ্টা করব।’ আসিফ জানালেন, যাত্রী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে চান। পুরো ছবির শুটিং ঢাকায় হবে। এই শীতের মৌসুমে কাজটা করব। কারণ, গল্পে শীতের মৌসুমটা দরকার।’
আসিফ ইসলাম প্রথম যৌথভাবে বানিয়েছিলেন ‘পাঠশালা’। এরপর এককভাবে বানিয়েছেন ‘নির্বাণ’। এই সিনেমায় এক কারখানার তিন কর্মীর যাপিত জীবন তুলে এনেছেন আসিফ। যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমাদৃত হয়েছে।
আর ঐশীর বড়পর্দায় অভিষেক হয় আরিফিন শুভ’র বিপরীতেই ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমা দিয়ে। প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘আদম’ নামের শৈল্পিক ধাচের ছবিতে অভিনয় করে। যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন ইয়াশ রোহান। চলচ্চিত্রের বাইরে ঐশী শুধু বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেন। সর্বশেষ এ বছরের মে মাসে তিনি একটি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড-এর শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন।