৬৮-তে পা দিলেন সুরের পাখি রুনা লায়লা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রুনা লায়লা

রুনা লায়লা

বাংলাদেশের সংগীত শিল্পের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লার আজ ৬৮তম জন্মদিন। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে তার জন্ম। রুনা বয়স যখন আড়াই বছর তখন তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।

রুনা লায়লা

১৯৭৪ সালের শুরুতে প্রয়াত সত্য সাহার সুরে ‘জীবন সাথী’ ছবিতে গান গাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা। তবে পাকিস্তানের ‘যুগ্নু’ ছবিতে ছোটবেলায় রুনা লায়লা প্রথম প্লেব্যাক করেন।

বিজ্ঞাপন

 

দীর্ঘ পাঁচ দশকে অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন রুনা লায়লা। পাশাপাশি বাংলাদেশকে সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক- সব ধাঁচের গানই গেয়েছেন তিনি।

রুনা লায়লা

বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, পাঞ্জাবিসহ ১৮টি ভাষায় রুনা লায়লার গানগুলো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে শ্রোতারা। তার গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। সংগীত জীবনে এরই মধ্যে বর্ণাঢ্য ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই কণ্ঠশিল্পী।

 

 

চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা। এ ছাড়া পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। অনন্য কণ্ঠ, অধ্যবসায়, একাগ্রতা, চর্চা, সময়জ্ঞান- সব মিলিয়ে এতো দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেও তার তুলনা শুধু তিনিই।

রুনা লায়লা

নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান সুরের পাখি রুনা লায়লা।

 

সংগীতের পাশাপাশি নাচেও বেশ পারদর্শী রুনা লায়লা। ৪ বছর বুলবুল একাডেমি করাচিতে ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শিখেছিলেন এ তারকা। নন্দিত এই শিল্পী অভিনয় করেছেন ‘শিল্পী’ নামক একটি চলচ্চিত্রে।