এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। যারা খারাপ ফল করেছে তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন! আপনার পরিশ্রমকে উদযাপন করুন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যান।’
বিজ্ঞাপন
যারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তাদের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বললেন, ‘যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পাননি, হতাশ হবেন না। এটি কেবল একটি অধ্যায়, সামনে আরও অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বিশ্বাস রাখুন, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান, সফলতা আপনার হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন শুরু হয়ে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাতিল পরীক্ষাগুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসসহ আট জাতীয় দিবস বাতিল করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে তথ্যগুলো।
এই সিদ্ধান্তে সোশ্যাল মিডিয়া দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, গায়িকা ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।
তিনি একটু আগেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস হিসাবে বাতিল করা হলো আজ! আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করলাম। কিছুদিন পর দেখা যাবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস বাদ, নতুন স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ৩৬ জুলাই পালিত হবে হয়তো!’
এই স্ট্যাটাসের পাদটীকা হিসেবে শাওন লিখেছেন, ‘‘৭ মার্চের পক্ষে বলার জন্য যদি আমাকে ‘দালাল’ উপাধি পেতে হয় তবে আমি দালাল। আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দালাল, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দালাল।’’
শুধু শাওন নয়, এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা, কাজী নওশাবা আহমেদ, নূনা আফরোজসহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত, আজ এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।’
জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ৭ মার্চকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমূখীতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।’
৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। আপাতত ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চাইলেই আমলাতন্ত্র পুরো বাতিল করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে সরকার। অন্তর্র্বতী সরকারের কাজ সবার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের সমর্থন নিয়েই কাজ করছে সরকার।’
আওয়ামী লীগের দলীয় দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। আজ (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ এ মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্য গণমাধ্যমে শোনার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
তিনি একটু আগেই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভাই নাহিদ, যখন আপনাদের জন্মই হয়নি সেই সময়ের দেশ এবং নেতাদের নিয়ে কথা বলা আপনার জন্য বেমানান। আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।’
সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে মঞ্চ নাটকের নন্দিত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নূনা আফরোজ মন্তব্য করেছেন, ‘এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে কীভাবে ৭১, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে পারে! তারা আসলে কারা?’
নূনা আফরোজ ছাড়াও অল্প সময়ে ওই পোস্টে একশ’র বেশি মন্তব্য এসেছে। বেশিরভাগই সোহেল রানার কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন, ভিন্ন মতও রয়েছে বেশকিছু।
প্রসঙ্গত, আজকের ওই সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।’
জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ৭ মার্চকে বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘৭ মার্চ গুরুত্বপূর্ণ, তবে জাতীয় দিবস হওয়ার মতো না। আওয়ামী লীগ অনেক দিবসকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
৭ মার্চ নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে না জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান অবশ্যই জাতির জনক না। এই ভূখণ্ডে অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে, লড়াই রয়েছে। ইতিহাসের বহুমূখীতা রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে। তাই এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।’
৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে। আপাতত ৫ আগস্টকে প্রাধান্য দিয়ে একটি জাতীয় দিবস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। চাইলেই আমলাতন্ত্র পুরো বাতিল করা যাবে না। প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযোগ যে কারও বিরুদ্ধেই হতে পারে। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে সরকার। অন্তর্র্বতী সরকারের কাজ সবার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া। জনগণের সমর্থন নিয়েই কাজ করছে সরকার।’
এদিকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসসহ আট জাতীয় দিবস বাতিল করছে অন্তর্র্বতী সরকার। আজ অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) মহাত্মা লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে। ৮৪ দিন পর গত শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন খুলেছে। দিনে দিনে দর্শকের উপস্থিতিতে প্রাণচঞ্চল হচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি। যদিও এখনো সীমিত পরিসরে খুলেছে নাট্যশালা ও মহড়াকক্ষ। খোলার পর প্রথমবার নিজেদের অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। প্রথমেই আয়োজন করা হয়েছে লালন উৎসব।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিল্পকলা একাডেমি জানায়, তিন দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত হবে ‘আশাসিন্ধু তীরে’। গানে ও তত্ত্বে লালনকে উপস্থাপন করবেন শিল্পী অরূপ রাহী ও জহুরা ফকিরানী। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক মোস্তফা জামান।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ছয়টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে আয়োজন করা হবে সাধুমেলা ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।
উৎসবের তৃতীয় দিন শনিবার ১৯ অক্টোবর বিকেল চারটায় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে প্রথম পর্বে ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক আ-আল মামুন।
আলোচনা করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম; লেখক ও সাংবাদিক এবং পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ; নাট্যকার, লেখক ও গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শাহমান মৈশান। সভাপতির বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে লালন স্মরণোৎসব ‘ধরো মানুষ রূপ নেহারে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক আবদুল হালিম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ এবং সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক।
বেশ কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে মডেল ও অভিনেত্রী জেসিয়া ইসলামের বিভিন্ন ক্যাটওয়াকের ভিডিও। তারমধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে এই তারকা সুইমস্যুট (বিকিনি) পরে দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে র্যাম্পে হাটছেন।
না, আমাদের দেশে এখনো বিকিনি পরে ফ্যাশন শো চালু হয়নি। জেসিয়ার যে ক্যাটওয়াকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে তা একটি আন্তর্জাতিক বিউটি পেজেন্টের।
জেসিয়া এই মুহুর্তে রয়েছেন থাইল্যান্ডের পাতায়ায়। সেখান তিনি ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। গত ১৪ অক্টোবর এই প্রতিযোগিতার সুইমস্যুট রাউন্ডে অংশ নেন জেসিয়া ইসলাম। সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেক তারকা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আগামী ২৫ অক্টোবর হবে এই প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।
এবারই প্রথম নয়, জেসিয়া এর আগেও দুটি আন্তর্জাতিক বিউটি পেজেন্টে অংশ নিয়েছেন। ২০১৭ সালে প্রথম ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগীতা জিতে তিনি অংশ নেন চীনে অনুষ্ঠিত ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায়। এরপর তিনি আরও একটি প্রতিযোগীতায় অংশ নেন।
এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জেসিয়া গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিভিন্ন দেশের সুন্দরীদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদান প্রদান চলে, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ও তাদের জীবন আচরণ সম্পর্কে জানা যায়। তবে এই বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের মানুষ যে চিন্তা চেতনা ও মানসিকতায় চলছে, তা থেকে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই পিছিয়ে। ভ্রান্ত ও পুরনো ধ্যান ধারণা নিয়েই আছে। আমাদের চলাফেরা, পোশাক, জীবনযাপন এসব নিয়ে চিন্তা চেতনার উন্নয়ন ঘটানো দরকার। মানবিকতা নিয়ে, মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, মানুষ মানুষের জন্য এই চিন্তা ভাবনার উন্নয়ন ঘটানো দরকার।’
কিভাবে চিন্তা চেতনার উন্নয়ন ঘটবে তার উত্তরও জেসিয়ার রয়েছে, ‘আমার মতো অন্তত ২০ জন মেয়ে দরকার। যারা বিশ্বের এসব আয়োজনে অংশ নেবে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। এরাই পরে বাংলাদেশের ওই সব মানুষের চিন্তা চেতনা পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আসলে মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করছি। মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে। নারীরা যেন নির্যাতিত না হয়, নারীদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ তৈরি করা এসবের জন্যই তো আমরা কাজ করছি। এই সংখ্যাটা যখন আমি একজনের জায়গায় ২০ জন হবে তখন আমার মনে হয় একটা বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।’
এদিকে অনন্য মামুন পরিচালিত সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্র ‘দরদ’ চলচ্চিত্রে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জেসিয়া ইসলাম। এর আগে বেশ কিছু নাটক ও মাসুদ রানা সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। তবে বরাবরই অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন তিনি। অনেকেই মনে করেন, জেসিয়া মডেল হিসেবে যতোটা ভালো, অভিনেত্রী হিসেবে ততোটাই খারাপ।
অভিনয় নিয়ে জেসিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এই জায়গাটিতে কাজের স্বপ্ন দেখতাম ছোটবেলা থেকে। তাই এখানেই আমি বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখি। এখন আমার হাতে কোনো চলচ্চিত্রের কাজ নেই। তবে কাজ করব, অনেকগুলো প্রস্তাব আছে। চিত্রনাট্য, গল্প, নির্মাতা, সহশিল্পী, সবকিছু মিলে একটা প্যাকেজ। এই প্যাকেজ মিলে গেলে কাজ করব।’ শাকিব খানের ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে জেসিয়া বলেন, ‘শাকিব খান আসলে এমন একজন অভিনেতা, তিনি অনেকগুলো জেনারেশনের অনুপ্রেরণা। তার সঙ্গে কাজ করাটা বেশ ভালো ব্যাপার। আর শাকিব খান এককভাবে ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটা বেশ ইতিবাচক। তবে আমি মনে করি আমাদের আরও ১০ জন শাকিব খান দরকার।’
জেসিয়া অভিনয়ে জয়া আহসানকে আদর্শ মানেন। বললেন, ‘তার অভিনয় আমাকে মুগ্ধ করে। আমি তার অভিনয় দক্ষতা, তার ফ্যাশন সচেতনতা সবকিছুই অনুসরণ করি।’