ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা অস্বীকার ইরানের
মার্কিন ধনকুবের এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী প্রশাসনের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের সঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এক সংবাদ প্রতিবেদনে জানায় সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানির সঙ্গে নিউইয়র্কে গোপনে বৈঠক করেছেন ইলন মাস্ক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার (১৭ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে ইরানের অস্বীকারের এ কথা জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইলন মাস্কের সঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের গোপন বৈঠকের কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন।
আরাগচি এসময় বলেন, ‘হয় বিরোধ, নয় সহযোগিতা’ দুটোর জন্যই প্রস্তুত ইরান।
বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার ওয়াচডগ আইএইএ এবং এর পাশ্চাত্য সহযোগীদের ইরানের আপত্তি বিষয়ে হয় বিরোধ বা সহযোগিতা দুটোর জন্যই ইরান রাজি রয়েছে।
ইলন মাস্কের সঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতের গোপন বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আরাগচি বলেন, এটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একটি বানানো গল্প।
তিনি বলেন, আমার মতে এটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একপেশে সংবাদ পরিবেশনা। তারা পরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছে যে, কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়; এছাড়া আর কিছু না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হবে, সে বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন কী ধরনের নীতি গ্রহণ করবে, তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সেটা দেখার পরেই আমরা আমাদের নীতি নির্ধারণ করবো। তার আগেই এ ধরনের বৈঠকের কোনো সুযোগ নেই।
সবধরনের নীতি চূড়ান্ত করার অধিকার একমাত্র আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছ থেকে এ ধরনের বৈঠকের কোনো অনুমতি নেই।