আফগানিস্তানে যাত্রীবাহী একটি গাড়ি নদীতে ডুবে গেলে ৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ৪ জন শিশুও রয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম মুনসিফ ডেইলি এ খবর জানায়।
বিজ্ঞাপন
খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশে যাত্রীবাহী একটি গাড়ি কোকসা নদীতে পড়ে গেলে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাড়ির চালকও আছেন।
এবিষয়ে বাদাখশান প্রদেশের ডিরেক্টর অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচার জাবিউল্লাহ আমিরি জানিয়েছেন, শুক্রবার শেষের দিকে যাত্রীবাহী একটি গাড়ি বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফাইজাবাদের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পর পথিমধ্যে কোকসা নদীতে ডুবে যায়। এতে করে ৮ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে গাড়িচালক এবং তার আত্মীয়-স্বজনেরাও রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কী কারণে গাড়িটি দুর্ঘটনায় পতিত হলো, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সড়কের অবকাঠামোগত সমস্যা, অদক্ষ গাড়িচালক, বেপরোয়া গাড়ি চালনা, ওভারলোডিং ও ওভারটেকিংয়ের কারণে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার ‘অনৈসলামিক’ বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি (সিআইআই)। এ বিষয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিওনিউজে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজি (সিআইআই)-এর চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, শরিয়া আইন অনুযায়ী, ভিপিএন ব্যবহার ‘অনৈসলামিক’।
সেইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, নিষিদ্ধ কন্টেন্টে প্রবেশ করা ‘অনৈতিক’ বা ‘ধর্মবিরোধী অপরাধ’! সেজন্য তিনি পাকিস্তানে এ ধরনের কন্টেন্ট (বিষয়বস্তু) ‘ব্লক’ (বাধা দেওয়া) করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সিআইআই চেয়ারম্যান ডা. রাঘিব হুসাইন নাঈমি এক বিবৃতিতে বলেন, শয়তানকে নিবৃত্ত করার অধিকার সরকার রাখে।
তিনি শরিয়া অনুযায়ী ‘অনৈতিক’ এবং ‘নষ্ট কন্টেন্ট’ প্রতিরোধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান।
শরিয়ার অধীনে ভিপিএন ব্যবহার অনুমতিযোগ্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাব ডা. নাঈমি বলেন, ভিপিএন টুল ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্লকড কিংবা অবৈধ সাইটে প্রবেশ করা নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার ব্যত্যয়।
ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়, যা সমাজে নৈরাশ্য সৃষ্টি করে থাকে। এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রতারণা করা হয় এবং এ কারণে সাইবার অপরাধ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, এটি নির্ভর করে কী উদ্দেশ্যে এবং কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ওপর। ভিপিএন ব্যবহার করার মাধ্যমে ‘ইসলামিক’ ও ‘সমাজের আইন লঙ্ঘন’ করা হয়। মুসলিমদের উচিত, রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন না করা, যা ইসলামিক নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় স্বার্থে এবং সাধারণ মানুষের নৈতিকতা রক্ষায় এক চিঠিতে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি (পিটিএ)-কে অবৈধ ভিপিএন ব্যবহার ব্লক করার নির্দেশ দেওয়ার পর পরই সিআইআই চেয়ারম্যান নাঈমি এ ধরনের মন্তব্য করলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে পাকিস্তানে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স (সাবেক টুইটার) নিষিদ্ধ করার পর ভিপিএন ব্যবহার বেড়ে যায়। দেশটিতে ২ কোটি মানুষ রোজ ভিপিএন ব্যবহার করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণের একটি দ্বীপের তীর থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর মধ্যে ৩০টি শিশুও রয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আসা ৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এর মধ্যে ৩০ শিশুও রয়েছে এবং নারীরা সবাই বোরকা পরিহিত ছিলেন।
তারা মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া বা ইন্দোয়েশিয়া যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে থাইল্যান্ডের ফাং নগা প্রদেশ পুলিশের কমান্ডার সোমকানে ফোথিস্র জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানিয়েছেন, তারা সবাই মুসলিম এবং তাদের উদ্দেশ ছিল মালয়েশিয়া কিংবা মালয়েশিয়ার যাওয়া।
খবরে আরো জানানো হয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সমুদ্র শান্ত থাকার সময় পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ড বা বাংলাদেশ থেকে কাঠের নৌকায় চড়ে অভিবাসীরা অবৈধভাবে মুসলিমপ্রধান দেশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ফাং নগার গভর্নর সুপোজ রোড্রুং ন নঙ্গখাই বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা এখন নিশ্চিত হতে পারিনি যে, আটকরা প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা বা মুসলিম কিনা। কারণ, কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ৩০ শিশুকে ডিপার্টমেন্ট অব সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারে হেফাজতে রাখা হবে।
চীনে বহুতল একটি ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আগুনের সূত্রপাত বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) চীনের বার্তাসংস্থা জিনহুয়ার বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদুলু আজান্সি (এএ) এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, কাউন্টির পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় চীনের মধ্য প্রদেশ হুনানের সাংঝি কাউন্টির ঝাংজিয়াজায়ি শহরের ৫তলা একটি ভবনের দ্বিতীয়তলায় আগুন লাগে। এতে দগ্ধ হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর তদন্ত কাজ শরু হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ চীনে আগুন লাগার ঘটনা তেমন একটা বিরল কিছু নয়। এর আগে অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় আনহু প্রদেশের হুইনান শহরে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৭ জন মারা যান। তার আগে জানুয়ারি মাসে জিয়াংজি প্রদেশের জিনউ শহরে আগুন লেগে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, এয়ারফোর্স বেস এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ-এর ভবনের ওপর হামলা করেছিল ইরান।
এ হামলার পাল্টা হামলা হিসেবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এর মধ্যে পরিত্যক্ত পারমাণিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপরও ইসরায়েল হামলা করেছিল বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
তবে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় উঠে আসা সংবাদমাধ্যম ‘এক্সিওস’-এ ভিন্ন একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এক্সিওস-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১৬ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাম, ইসরায়েলের টাইমস অব ইসরায়েলসহ আরো বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে, চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল পরিত্যক্ত পারমাণবিক কর্মসূচির স্থাপনার ওপর হামলা করেছিল, সেটি আসলে গোপনে পরিচালিত পারমাণবিক অস্ত্রের ডিজাইনের কাজে ব্যবহৃত করা হতো।
খবরে বলা হয়, এক্সিওস-এ প্রকাশিত সংবাদে ৩ জন মার্কিন ও ২ জন ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বর্তমানে কর্মরত গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা রয়েছেন।
এক্সিওস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) প্রধান ইরানে সেই স্থাপনা পরিদর্শন করার পর জানিয়েছেন, ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করেনি।
এই প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের পরচিনে অবস্থিত সক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্রের গবেষণা কেন্দ্র ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। এসময় ইসরায়েলের অনেক ফাইটার জেট হামলায় অংশ নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওয়াচডগ এ বিষয়ে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, জাতিসংঘের ওয়াচডগের পরিদর্শক দলের প্রতিনিধিদের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনা পরির্দশন করার অনুমতি দেয়নি ইরান।
এক্সিওস জানায়, পরচিন-এর পারমাণবিক কেন্দ্রে উন্নতমানের ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়ার ডিভাইসকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরকের ডিজাইনের বিষয়ে গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হতো।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের দুইজন গোয়ন্দা কর্মকর্তা অক্সিওসকে জানান, ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হওয়ার পর সেখানে নতুন করে পারমাণবিক বিস্ফোরক ডিভাইস তৈরি করা ইরানের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যাবে।
তারা জানান, এরপর ইরান যদি ফের তা কেনার চেষ্টা করে, তাহলে তারা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।
তারা আরো জানান, ইরানের ‘টেলিঘান-২-এর স্যাটেলাইট চিত্র পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা সে স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন, যা ২০০৩ সালে পরিত্যক্ত বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছিল ইরান।
এ বিষয়ে মার্কিন ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন যে, টেলিঘান-২ কেন্দ্রে কম্পিউটারে মডেলিং তৈরি করার কাজের পাশাপাশি বিস্ফোরক বিষয়েও গবেষণা করা হতো। তারমানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের ডিভাইস তৈরি করতো।