লাগেজ সুবিধায় আনা যাবে না দু’টির বেশি মোবাইল

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লাগেজ সুবিধায় মোবাইল আনায় নতুন বিধিমালা

লাগেজ সুবিধায় মোবাইল আনায় নতুন বিধিমালা

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাগেজ রুলসে বড় পরিবর্তন আসছে। একজন প্রবাসী তার ব্যবহৃত সর্বোচ্চ দুটি মোবাইল ফোন শুল্ককর পরিশোধ ছাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে একটি মোবাইল ফোন শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, একজন প্রবাসী তার ব্যবহৃত সর্বোচ্চ দুটি মোবাইল ফোন শুল্ককর পরিশোধ ছাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে একটি মোবাইল ফোন শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে আনতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইলের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের মোবাইলের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ৬০ হাজার টাকা বেশি দামের মোবাইলের জন্য ২৫ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।

অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেবেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।