বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে থাকছে না কর রেয়াত

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের কর রেয়াত সুবিধা সংশোধন করে শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি এ প্রস্তাব রাখেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে আগে দুই ধরনের পণ্যসামগ্রীর আমদানিতে শূন্য শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হতো, যা এখন বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে।

এসব অঞ্চলে ডেভেলপারের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা পণ্যে আগে কোনো শুল্ক না থাকলেও এবার তা ১ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া যানবাহন আমদানিতে দিতে হতো না কোনো আমদানি শুল্ক। প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো আমদানি শুল্ক আরোপ করা না হলেও অন্যান্য সকল শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

একইভাবে হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে দুই ধরনের পণ্যসামগ্রীর আমদানিতে দিতে হতো না কোনো শুল্ক। তবে সেখানে এবার ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হবে।

হাইটেক পার্কে ডেভেলপারের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা পণ্যে আগে কোনো শুল্ক না থাকলেও এবার তা ১ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য যানবাহন আমদানিতে দিতে হতো না কোনো আমদানি শুল্ক। প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো আমদানি শুল্ক আরোপ করা না হলেও গাড়ি আমদানিতে অন্যান্য সব শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন।

এবারের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।