মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানিতে কমছে ব্যয়

  সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে মোটরসাইকেল সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ইন সিকেডি’র পার্টসসমূহে ৩ (তিন) শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঘোষিত বাজেটে ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ (দশ) শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% ধার্য করা হয়েছে।

এছাড়াও দেশে Coated rod & coated wire উৎপাদনে তৈরি কারখানাকে উৎসাহ প্রধানে রেয়াতি হারে আমদানি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন।

এবারের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এবার ঘাটতিই থাকবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ ঘাটতি পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। এই খাত থেকে মোটা দাগে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণও রয়েছে। এর পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত খাত হিসেবে বিবেচিত সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এনবিআরকে রাজস্ব আয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। নন-এনবিআর থেকে আসবে আরও ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির টার্গেট থাকছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।