• স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

নতুন অর্থবছরে সব মিলে ৫,৪১,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। বাইরে বিদেশি অনুদানের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন না থাকায় এ খাতে সম্ভাব্য প্রাপ্তি ৪০০০ কোটি টাকাকেও আয়ের ঘরে দেখাচ্ছে সরকার।

সব মিলে বাজেটে সরকারের প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে- ৪৮,৯৪,৪০০কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

সব মিলে আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে ৭৯৭০০০০০ কোটি টাকার ব্যয় মেটাতে আরো ঘাটতি থাকবে ২৫,৬০,০০০ কোটি টাকা।

এবার দেখা যাক, সরকারের আয়ের অর্থ কোনখাত থেকে আসবে আর ঘাটতির অর্থই আসবে কোথায় থেকে!

বাজেট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অর্থ আসবে কর থেকে। এখাতে আদায়ের লক্ষ্য থাকবে ৪৯৫,০০০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এখাতে ৪২৯,০০০ কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ বাড়ছে ১৫.৪ শতাংশ।

মোট করের প্রায় ৯৭শতাংশ বা প্রায় ৪৮০,০০০ কোটি টাকা আদায় করবে এনবিআর। এই সংস্থার করের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ১৭.১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের চাইতে ৭০০০০ কোটি টাকা বেশি কর আদায় করবে এনবিআর।

এনবিআর এর বাইরে যানবাহন কর, ভূমি রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন খাতে কর আদায়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ১৫০০০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ২০০০০ কোটি টাকা থেকে এ খাতে বরাদ্দ কমছে প্রায় ২৫ শতাংশ।

করের বাইরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মুনাফা, ফি, টোলসহ বিভিন্ন আয় বাবদ ৪৬০০০ কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। এখাতেও আগাগী বছর আয় কমছে আট শতাংশ।
এর বাইরে অনুদান বাবদ দাতাদেশগুলো ও সংস্থা থেকে বাজেট বাস্তবায়নে ৪৬০০ কোটি টাকা আদায় করতে চায় সরকার।

বাজেট বাস্তবায়নে ব্যয়ের চাইতে আয় কম হচ্ছে ২৫৬০০০ কোটি টাকা, যা পুরো বাজেটের ৩২.১২ শতাংশ ও জিডিপির ৪.৫৭ শতাংশ। দেশি-বিদেশি ঋণের মাধ্যমেই এই অর্থের যোগ নিশ্চিত করতে হবে।

ঘাটতি মেটাতে বিদেশি উৎস থেকে ঋণ হিসেবে ৯০৭০০ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে আর দেশি ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হচ্ছে ১৬০৯০০ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ ঋণের ৮৫ শতাংশের বেশি ১৩৭৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। এর বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫৪০০ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাত থেকে ৮০০০ কোটি টাকা আদায় হবে।