আরপাঙ্গাশিয়া-সোমবাড়িয়া সড়কের বেহাল দশা

  • মো. খাইরুল ইসলাম আকাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আরপাঙ্গাশিয়া-সোমবাড়িয়া সড়কের বেহাল দশা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আরপাঙ্গাশিয়া-সোমবাড়িয়া সড়কের বেহাল দশা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বরগুনার আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া-সোমবাড়িয়া সড়কের অংশ বিশেষ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশা বিরাজ করছে। ফলে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, সড়কটির আট কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কার্পেটিং উঠে ইটের সোলিং নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ওই অংশে ছোট-বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আর ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। কারণ আমতলী উপজেলার সাথে তালতলী উপজেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়কটি।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া, তালতলী উপজেলার পঁচাকোলিয়া, ছোটবগী, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নবাসী প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করেন। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থাকায় মালামাল নিয়ে এই পথে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে হয়। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থায় গাড়ির স্টিয়ারিং ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। এতে যানবাহনের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি মালামাল পরিবহনে সময় লাগে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার কিছু কিছু অংশে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চলছে অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, পিকআপসহ বিভিন্ন কাঁচামালের গাড়ি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা।

আরপাঙ্গাশিয়া-সোমবাড়িয়া সড়কের বেহাল দশা

স্থানীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তালতলী উপজেলা নতুন হলেও এখনও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক অফিসে যেতে হয় এই সড়ক ব্যবহার করেই। ফলে ভোর থেকে আমতলীর উদ্দেশ্য রওনা করতে হয়। তা না হলে সময় মতো পৌঁছানো যায় না।

এই সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী মো. নাজমুল হাওলাদার জানান, সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তাটি এখন সবার কাছে মরণকূপ হিসেবে পরিচিত। সকালে মোটরসাইকেলে করে বাজারে গিয়ে শারীর ব্যথা হয়ে গেছে তার।

এই সড়কে চলাচলকারী অটো চালক মো. সামসুল হক জানান, গত দুই বছর ধরে সড়কটির বেহাল দশা হলেও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় না। তাই ঝুঁকি নিয়েই অটো চালাতে হয়। এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার দাবি জানিয়েছে।

অটো চালক কুদ্দস জানান, সড়কে তৈরি হওয়া গর্তে চাকা পড়লে গাড়ির ক্ষতি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত ঝাঁকুনি লাগায় যাত্রীরা সামনে বসতে চায় না।

মোটরসাইকেল চালক সোহেল ফরাজী জানান, এই সড়কে রোগী নিয়ে চলাচল করা যায় না। তারপরও তাদের প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়।

কলেজ ছাত্রী মোসা. রাবেয়া জানান, তালতলী উপজেলা থেকে এই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আমতলী সরকারি কলেজে যাতায়ত করে শিক্ষার্থীরা।

বরগুনার সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সড়কটি পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পরবর্তীতে বাজেট এলে দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’