‘ঘর-টাকা নাই, হামার কিসের ঈদ’

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হামিজন নেছা । ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

হামিজন নেছা । ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

রাক্ষসী তিস্তা গিলেছে বিঘার পর বিঘা জমির ধান, পাটসহ গাছপালা। পাশাপাশি বন্যার কারণে সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব লালমনিরহাটের তিস্তা-ধরলা তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষ। তারা রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়ে কোনো মতে দিন পার করছে।

বন্যার্ত এসব মানুষের কাছে গিয়ে ঈদের কথা বলতেই চোখে-মুখে কষ্টের চিহ্ন দেখা যায়। এ সময় হামিজন নেছা (৮৫) নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘ঘর নাই, টাকা নাই, হামার কিসের ঈদ বাহে।’

বিজ্ঞাপন

হামিজনের মতো লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় তিস্তাপাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে নেই ঈদের আমেজ।

অথচ কোরবানির ঈদের আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। কিন্তু লালমনিরহাটের তিস্তা-ধরলা তীরবর্তী গ্রামগুলোর মানুষের আনন্দের চেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতেই দিন পার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565611227648.jpg

সোমবার (১২ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হারিয়ে এসব এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা। এর উপরে কোরবানি ও নতুন কাপড়ের জন্য অবুঝ সন্তানের কান্না ভেজা আবদার বাবা-মায়ের কষ্টকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আদিতমারী মোহিষখোচার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার রহমান বলেন, ‘বন্যার পরে তীব্র ভাঙনের কারণে বাড়িসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অথচ আমাদের সান্ত্বনা দেয়ার মতো কেউ নেই। বারবার সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ভাঙন ঠেকানোর আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বন্যার সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে ঈদে তেমন কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।