ব্যর্থ এলজিইডি, সাঁকো নির্মাণ করলেন গ্রামবাসী

  • নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপেন্ডন্ট, বার্তাটেয়োন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এলাকাবাসীর শ্রমে নির্মিত সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

এলাকাবাসীর শ্রমে নির্মিত সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

প্রথম বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা-বড়খাতার তালেব মোড়ের বাইপাস সড়ক ভেঙে গেছে প্রায় এক মাসের বেশি। ফলে পাকা সড়কটি দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) কর্মকর্তারা সড়কটি পরিদর্শন করলেও যোগাযোগ স্বাভাবিক করার কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। এতে স্কুল-কলেজেসহ স্থানীয় পথচারীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী নিজ খরচে ও পরিশ্রমে ভেঙে যাওয়া সড়কের উপর দিয়ে নির্মাণ করেছেন বাঁশের সাঁকো।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564520631571.jpg

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, এলাকাবাসীর শ্রমে নির্মিত সাঁকো দিয়ে গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, হাতীবান্ধা-বড়খাতার কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজের সন্ধানে শহর যাতায়াত করতে পারছেন। তবে সাঁকোটি দিয়ে চলাচল করতে পারছে না কোনো যান।

আরও পড়ুন: বন্যায় ভেঙেছে সড়ক, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

জানা গেছে, জুলাই মাসের প্রথম সাপ্তাহের তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার পাকা সড়কটির ৭০ফিট অংশ ভেঙে যায়। যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এলাকার ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা হাঁটু পানিতে চলাচল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564520692725.jpg

পাকা সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন এবং প্রকৌশলী অজয় কুমার পরিদর্শন করলেও কোনো ধারনের পদক্ষেপ নেননি। যার ফলে এলাকাবাসী এলজিডি’র ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এলাকাবাসী জানান, ভেঙে যাওয়ার পর সরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ায় এলাকাবাসী অর্থসহ শ্রম দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেন। দুর্ভোগ দূর করতে গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই স্থানে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564520714810.jpg

গড্ডিমারী নিম্নমাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় পাকা রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদেরকে ৪/৫ কিলোমিটারের মতো এলাকা ঘুরে বিদ্যালয়ে আসতে হতো। বেশিরভাগ অসুবিধায় পড়েছে কোমলমতি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ মানুষ। যার কারণে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় একটি বাশেঁর সাঁকো তৈরি করা হয়েছে।’

গড্ডিমারী দ্বি-মুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রসাশনসহ এলজিইডিকে জানানো হয়েছিল। এরপরও প্রকৌশলী অধিদফতর থেকে এখনো সড়কটির যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেয়নি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/31/1564520736590.jpg

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.আবুল কালাম আজাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, দ্বিতীয় বন্যার হওয়ার কারণে সড়কটির যোগাযোগ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে।

উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অজয় কুমার রায়ের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টার করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।