প্রশ্নফাঁস চক্রের ৮ সদস্য ২ দিনের রিমান্ডে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) আদালতে হাজির করা প্রশ্নফাঁস চক্রের  সদস্যরা।  ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) আদালতে হাজির করা প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যরা। ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) আদালতে আসামিদের হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং দুইজন মাধ্যমিকের শিক্ষক। রোববার (৩০ জুন) তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

আসামিরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান ভূঁইয়া মিন্টু, বড়বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাকি, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান, বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, তেলিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি খানম, জঙ্গলটেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জেবুন্নাহার ডলি।

এ বিষয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের উত্তর সরবরাহ করছিল চক্রটি। আসামিরা কেন্দুয়া পৌর এলাকার টেঙ্গুরী ছয়আনি মহল্লার মনিরুজ্জামান শামিমের বাড়িতে বসে এ কাজ করছিল।

খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে শিক্ষকসহ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ ২টি ল্যাপটপ, ১টি ব্যাটারি, ২টি মডেম, ৭টি মোবাইল, ১টি চার্জার ও অন্যান্য বইসহ ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল জব্দ করে।

পরে শনিবার (২৯ জুন) কেন্দুয়া থানার এসআই আবুল বাশার বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৬০ জনসহ মোট ৯৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

আরও পড়ুন:প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, ৮ শিক্ষক বরখাস্ত