তরুণরা গড়ে তুললেন পাঠাগার ‘প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম হচ্ছে বলাইশিমুল। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানাভাবে অবহেলিত ভাটি অঞ্চলের এ গ্রামটির স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অর্ধশত উদ্যমী তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন ‘প্রাণ প্রাণ বইকুঞ্জ’ নামে একটি পাঠাগার। 

তারা পাঠাগারটির ভিত্তি স্থাপন করতে মাসব্যাপী শ্রম দিয়েছেন। নিজেরাই চাঁদা তুলে সংগ্রহ করেছেন অর্থ। গ্রামটির বাড়ি বাড়ি ঘুরে জোগাড় করেছেন বাঁশ।

বিজ্ঞাপন

তারপর ওই তরুণরা নিজেরাই মাটি ও বাঁশ কেটে গড়ে তুলেছেন ‘প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ’ নামে পাঠাগারটির ভিত্তি। তাদের অক্লান্ত শ্রম ও ঘামে অবশেষে দাঁড় করিয়েছেন একটি টিনশেড ঘর। এ ঘরেই চলবে ‘প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ’ পাঠাগারের কার্যক্রম।

তরুণদের পাঠাগার গড়ে তোলার এমন প্রচেষ্টা দেখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এলাকাবাসীসহ মহৎ মনের বেশ কয়েকজন মানুষ। তারা হলেন- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আমিনুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া ও ময়মনসিংহস্থ কেন্দুয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম আকন্দ লিটনসহ অনেকেই।

তবে পাঠাগারটি গড়ে তোলার জন্য সার্বিকভাবে ওই তরুণদের উৎসাহ দিয়ে এবং তাদের সঙ্গে থেকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে গুরুদায়িত্ব পালন করেন সমাজ উন্নয়নকর্মী ও লেখক আবুল কালাম আল আজাদ। আর পাঠাগারের ভূমি দান করে তরুণদের ‘প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ’ প্রতিষ্ঠার মূল ভিত্তি করে দিয়েছেন একই গ্রামের সমাজসেবক আব্দুল হান্নান।

এ বিষয়ে বুধবার (১২ জুন) দুপুরে প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ পাঠাগারের সভাপতি কলেজ পড়ুয়া তরুণ মোস্তাকিম হোসেন তালহা ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আরিফ জানান, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তরুণ সমাজ বই পড়া থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। গ্রামের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা মোবাইল হাতে ফেসবুক-ইন্টারনেটে অহেতুক সময় নষ্ট করছে। তাদের বইমুখী করতেই এই ‘প্রাণে প্রাণ বইকুঞ্জ’ প্রতিষ্ঠা করা।

প্রথমে অর্ধশত তরুণ মিলে পাঠাগারটি গড়ে তুললেও এখন তরুণ-তরুণী মিলিয়ে তাদের সদস্য সংখ্যা ৮০ জন বলেও জানান তারা।