কেন্দুয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

জমির বোরো ধান না কেটে দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এমনকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে সেখানেও প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে কৃষক মহিউদ্দিন গ্রুপ ও একই গ্রামের শ্রমিক হাছু মিয়া গ্রুপের লোকজন প্রথমে স্থানীয় দুর্গাপুর মোড় এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে হাছু মিয়া গ্রুপের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।

বিজ্ঞাপন

আহতদের বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রাথমিক দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, গত বৈশাখ মাসে দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন একই এলাকার ধান কাটার শ্রমিকদলের হাছু মিয়া জমির বোরো ধান কেটে দিতে বললে তারা ধান কেটে দিতে রাজি হন। কিন্তু পরে আর কৃষক মহিউদ্দিনের ধান তারা কেটে দেননি। এরই জের ধরে গত সোমবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে হাছু মিয়াকে স্থানীয় দুর্গাপুর মোড় এলাকায় পেয়ে কেন তার ধান কেটে দেয়নি, তা জানতে চান মহিউদ্দিন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মহিউদ্দিন হাছু মিয়াকে লাঞ্ছিত করে এবং মোড়ে আসতে নিষেধ করেন। এরই জের ধরে সংঘর্ষ বাধে।

এদিকে সংঘর্ষের পর ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান ও কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ১৭ জনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।