‘গোর-এ শহীদ’ ঈদগাহে মুসল্লিদের স্রোত
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে সমবেত হয়েছেন হাজারো মুসল্লি। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৬টায় ঈদগাহের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ার পর থেকে দলে দলে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে শুরু করেন।
এ ঈদগাহের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কিছুটা দেরিতে নামাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল মসজিদের ইমাম মাওলানা শামসুল হক কাসেমি।
এবার দিনাজপুর জেলা ও আশপাশের এলাকার প্রায় ৮ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে গোর-এ শহীদ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ ময়দানের উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
ঈদের নামাজ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আদায়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সব ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা এড়াতে ঈদগাহ মাঠ ও তার আশপাশের এলাকাজুড়ে বিপুল পরিমাণের পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যা ব সদস্যরা সার্বক্ষণিকভাবে টহল দিচ্ছেন।
এছাড়াও প্রতিটি প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে মাঠে প্রবেশকারী মুসল্লিদের তল্লাশি করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মুসল্লিদের ছাতা-জায়নামাজ ব্যতীত অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মাঠের প্রতিটি স্থানে নিরাপত্তার স্বার্থে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী টাওয়ার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সমবেত হয়েছেন।
দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। প্রধান গম্বুজের সামনের সৌন্দর্যবর্ধক মেহরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়ান) উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর পাশাপাশি রয়েছে ৫১টি গম্বুজ। এ ছাড়া ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠের দুই পাশে করা হয়েছে অজুর ব্যবস্থা। পুরো মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে।