তথ্য গোপন করে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের ভারত সফর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোণা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শম্ভুনাথ সরকার

শম্ভুনাথ সরকার

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শম্ভুনাথ সরকার স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি না নিয়ে চাকরির তথ্য গোপন করে ভারত সফরে যাওয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। দেশে ফিরলেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চাকরির তথ্য গোপন রেখে গত ২৯ মে বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যান শম্ভুনাথ সরকার। পাসপোর্ট ও ভিসায় প্রাইভেট চাকরির কথা উল্লেখ করে প্রায়ই ভারতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ২৫ মে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর নৈমিত্তিক ছুটিসহ ২৯ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৪ দিনের জন্য ছুটির আবেদন করেন শম্ভুনাথ সরকার। ছুটির আবেদনে কোথায় অবস্থান করবেন উল্লেখ করেননি এবং মোবাইল নম্বরও দেননি।

২৮ মে রাতে ময়মনসিংহ থেকে যশোদা পরিবহনে বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের চেংরাবান্দা হয়ে শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকায় যান শম্ভুনাথ। ২৯ মে থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকে।

বুড়িমারী চেকপোস্টে কর্মরত বুলু আহম্মেদ বলেন, ২৯ মে শম্ভুনাথ সরকার ভারতে গিয়েছেন। ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বছরে ২/৪ বার ভারতে যান। পুরাতন পাসপোর্ট দেখিয়ে নতুন ডিজিটাল প্রাইভেট পাসপোর্ট করে নির্বিঘ্নে ভারত সফর করেন তিনি। তবে তিনি চাকরি করেন সে বিষয়টি আমাদের কোনদিন বলেননি।

ভারতের চেংরাবান্দা চেকপোস্টে কর্মরত বাবন জানান, শম্ভুনাথ সরকারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তিনি প্রায়ই ভারতে যান। তথ্য গোপন করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে শম্ভুনাথ সরকার ভারত গিয়ে থাকেন বলেও জানান বাবন।

মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবীর রায় বলেন, শম্ভুনাথ সরকারের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ার নিয়ম নেই।

নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, শম্ভুনাথ সরকারের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্বে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী মাহমুদ আকন্দ বলেন, অফিস ফাঁকি দিয়ে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে অবশ্যই শম্ভুনাথ সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শম্ভুনাথ সরকার ভারতে অবস্থান করায় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।