ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত নারী শ্রমিকরা
হাতে কাস্তে নিয়ে পুরুষের সঙ্গে জমিতে বোরো ধান কাটছে নারী শ্রমিকরা। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমান তালে মাঠে কাজ করলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা। পুরুষ শ্রমিকের মূল্য ৪০০ টাকা হলেও নারীদের ক্ষেত্রে তা ৩০০ টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নড়াইল জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। মাঠে মাঠে দুলছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান। সবেমাত্র ধানকাটা শুরু হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ধান পাকতে আরও ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। মাঠে ধান কাটছে পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিরাও। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করছে তারা। অথচ শ্রমের মূল্যে রয়েছে ব্যবধান।
পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকার সবিতা বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে ধান কাটার কাজ করি। তবে পুরুষ শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হয় ৪০০ টাকা, আর আমাদের দেওয়া হয় ৩০০ টাকা। কাজ সমান এবং একই সময় পর্যন্ত কাজ করলেও আমরা নারীরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না।’
বেতবাড়িয়া গ্রামের নিভা রানি বিশ্বাস বলেন, ‘মাঝে মাঝে জমির আগাছা পরিষ্কার, ধান লাগানো বা ধানকাটার কাজ করে থাকি। তবে পুরুষদের সঙ্গে কাজ করলেও আমাদের শ্রমের মূল্য কম দেয়া হয়।’
পুরুষ শ্রমিক রকিবুল আলম অবশ্য দাবি করেন, নারী শ্রমিকরা একসঙ্গে কাজ করলেও তাদের থেকে অনেক বেশি কাজ করে পুরুষরা। তাই তাদের শ্রমের মূল্য বেশি।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ-সেমিনারে সম-অধিকার সব ক্ষেত্রে দেয়ার জন্য কাজ করছি। শ্রমের ক্ষেত্রে সমান সময় এবং কাজ করে মজুরি কম দেওয়া দুঃখজনক। মজুরির এ বৈষম্য দূর করতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং মানসিকতা পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছি।’