অপরূপ সাজে সেজেছে ‘শকুনি লেক’
সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে অপরুপ সাজে সেজেছে মাদারীপুরের বিনোদন কেন্দ্র ‘শকুনি লেক’। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমী জড়ো হন এই লেকে। প্রিয়জনদের সাথে অবসর সময় কাটাতে বিভিন্ন জেলা থেকেও আসছেন দর্শনার্থীরা।
লেকটি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, শহীদ কানন, শিশুপার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, এমপি থিয়েটার মঞ্চ,শান্তি ঘাটলা, পানাহারসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি টাওয়ার। শকুনি লেকের চারপাশে বসেছে বাহারি খাবারের দোকান ও শিশুদের খেলনা সামগ্রীর দোকান। লেকের চারপাশে আছে বিশ্রাম বেঞ্চ। দর্শনার্থীদের কেউ বসে কেউ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছে লেকের অপরূপ সৌন্দর্য।
জানা গেছে, বিকালে লেকজুড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি থাকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমণ পিয়াসীদের পদচারণায় উৎসবমুখর থাকে এই সুবিশাল শকুনি লেক। সন্ধ্যায় লেকের চারপাশে নানা রংয়ের আলো এবং বাতাসের মৃদু ঢেউয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বিরাজ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চল্লিশের দশকে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে দুই হাজার শ্রমিক দিয়ে ৯ মাসে এই লেকটি খনন করে। এখানে বাস করতো শকুন আকৃতির ভূত। ভূতের ভয়ে কেউ একা লেকপাড়ে আসতো না।
সেই থেকে এই লেকের নাম হয়েছে শকুনি লেক। দীর্ঘদিন অযত্নে আর অবহেলায় লেকটি পড়েছিল। অবশেষে সরকারি অর্থায়নে ২০১৩ সালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে এর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে হাত দেয় মাদারীপুর পৌরসভা।
দর্শনার্থীরা জানান, মাদারীপুর শহরের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র এই শকুনি লেক। সৌন্দর্য বর্ধনে এটি বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এখানে ঘুরতে আসেন।
মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শকুনি লেক মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষের জন্য চিত্তবিনোদনের স্থান। পর্যটন শহর হিসেবে মাদারীপুরকে সারাবিশ্বে পরিচিতি করার ক্ষেত্রে এই লেক নতুন মাত্রা যোগ করবে।‘