কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আজ, নেতৃত্বে বাকৃবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রথমবারের মতো কৃষি বিষয়ক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এবার সমন্বিত এ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিচ্ছে ময়মনসিংহস্থ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আসনবিন্যাসও প্রকাশ করা হয়েছে। বাকৃবিতে ১৬টি অঞ্চলে ২৩৪টি কক্ষে মোট ১২ হাজার ৬৭৫ জন পরীক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক ভর্তি প্রক্রিয়া দেশের সকল মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো রেকর্ড নেই। এটি আমাদের ঐতিহ্য। আমাদের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ছাত্র নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সম্মিলিত উদ্যম ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই দুর্লভ সুনাম অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দীর্ঘদিনের অর্জিত এই গৌরবোজ্জ্বল ধারাকে অব্যাহত রাখা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। এজন্য প্রতিবারের মতো সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে হবে। কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে হেল্প ডেস্ক। পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মাঠে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, বিভিন্ন জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নিজ জেলা থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে দিক নির্দেশনাসহ আবাসনের ব্যবস্থা করছে জেলা সমিতিগুলো। ভর্তিচ্ছুদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ৩ হাজার ৫৫৫টি আসনের বিপরীতে এবার এসএসসি ও এইচএসসি মিলে সর্বনিম্ন ৯.১৫ জিপিএধারী মোট ৩৫ হাজার ৯৮২ জনকে ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ প্রদান করা হয়েছে।