পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের লিচু তলায় অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এটি চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেককে তাদের দাপ্তরিক কাজ করতে দেখা গিয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারীরা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, সে প্রতিষ্ঠানে তার ছেলেমেয়েদের একটা হক আছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের সন্তানের অধিকার যতদিন না পর্যন্ত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, আমাদের সংগ্রাম চলবে।
আন্দোলনরত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের সাথে আমাদের কোনো সংঘর্ষ নেই। হয়তো তারা না বুঝে মিসগাইডেড হচ্ছে। গত ২ জানুয়ারি প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে যে ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমরা যেকোনো মূল্যে তা বাতিল চাই। পৃথিবী সৃষ্টির লগ্ন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চলে আসছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সে প্রতিষ্ঠানে তার ছেলেমেয়েদের একটা হক আছে। যেখানে সারা বাংলাদেশে পোষ্য কোটা বহাল আছে, সেখানে শুধু আমরা কেন বঞ্চিত হবো?
রাবি অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আজকের ধর্মঘট আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্য। এই দাবি প্রশাসনকে মানতে হবে। যদি এই প্রশাসন অসহায়ভাব প্রকাশ করে, তাহলে দেশেতো একটা সরকার আছে। বাংলাদেশ সরকার কি আমাদের আন্দোলন সম্পর্কে অবহিত নয়? তারা চাইলে আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেই ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের সন্তানের অধিকার যতদিন না পর্যন্ত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, আমাদের সংগ্রাম চলবে।
উল্লেখ, গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত পোষ্য কোটা বাতিল করতে বাধ্য হয় রাবি প্রশাসন। এতে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুই ঘণ্টার অবস্থান ধর্মঘট এবং গত সোমবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।