রোগীর উপস্থিতি কমছে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল

করোনাভাইরাস সংক্রামণ এড়াতে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের অন্ত ও বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। চিকিৎসকদের উপস্থিতির হারও কম। এতে করে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তবে চিকিৎসকের উপস্থিতি কম থাকার বিষয়টি মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।

স্বাভাবিক সময়ে হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে শয্যা সংখ্যার চেয়ে রোগী ভর্তি থাকে কয়েকগুণ বেশি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে রোগীর উপস্থিতি কমছে হাসপাতালে। অন্যান্য সময়ে সকাল থেকেই বর্হিবিভাগে রোগীর দীর্ঘ লাইন থাকলেও এখন ফাঁকা সেই লাইন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও জরুরি বিভাগে রোগীর উপস্থিতিও সীমিত।

বিজ্ঞাপন

ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসা রিকশা চালক আলম মিয়া জানান, ৩/৪ দিন ধরে ঠান্ড ও কাশি থাকায় হাসপাতালে এসেছেন তিনি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন তিনি।

মানিকগঞ্জ জরুরি বিভাগের নার্সিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা খুবই কম। জরুরি বিভাগে পরামর্শ নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীই জ্বর, ঠান্ডা ও পেট ব্যাথায় আক্রান্ত। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনাজনিত রোগী ছাড়া অন্য রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থাকতে ইচ্ছুক নয় বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি রোগী সেবা ও পরামর্শ নিতে আসতেন। এখন যার সংখ্যা মাত্র এক থেকে দেড়শো। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ে অন্তর্বিভাগে গড়ে ৪০০ রোগী ভর্তি থাকলেও এখন আছে তার অর্ধেকেরও কম। তবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক উপস্থিত রয়েছে বলে জানান তিনি।