তালিকায় নাম নেই, ৩ দিন বসে থেকেও মিলছে না ত্রাণ

  • জাহিদ হাসান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, যশোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ত্রাণের আশায় দুস্থ মানুষের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

ত্রাণের আশায় দুস্থ মানুষের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোরে সরকারি ত্রাণ না পেয়ে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার এ সময়ে শত শত নারী-পুরুষ বসে বিক্ষোভ করেন ত্রাণের দাবিতে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ করলে তারা কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, যশোর পৌরসভায় ৫ হাজার পরিবারকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যারা বিক্ষোভ করেছেন পৌরসভার ত্রাণের তালিকায় তাদের কোনো নাম নেই। জেলা প্রশাসক যশোর পৌরসভাকে অবহিত করলে তাদেরকে ডেকে এনে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে যশোর পৌরসভা।

বিজ্ঞাপন
ত্রাণের আশায় দীর্ঘ লাইন

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল ) দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এর আগে বেলা ১০টার পর থেকে যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন যশোর পৌরসভা। ত্রাণ বিতরণকালে হাজারও লোক সেখানে ভিড় করে। হুড়োহুড়িতে নাভিশ্বাস এক অবস্থার তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনও ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন শত শত নারী পুরুষ । এমতাবস্থায় ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন তারা। পরক্ষণে বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

পালবাড়ি পুলিশ লাইন বস্তি এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ জানান, তিন দিন ধরে আসছি কোনো ত্রাণ পাইনি। চাল নিতে আসার কারণে তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তাই আমরা ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। কিন্তু তিনিও আমাদের কথা শুনলেন না।

বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দৃশ্য

যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ারা জানান, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। এক ছেলে আছে সেও প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও ত্রাণ পাচ্ছি না। পৌরসভার ত্রাণ গরীব লোকে পাই না; পাচ্ছে বলো লোকেরা’।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় ২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে পৌরসভার মেয়রে সাথে কথা বলেছি। পরে বিক্ষোভকারীরা চলে যায়।