প্রবাসীর জমি রক্ষার্থে মসজিদের জমিতে রাস্তা নির্মাণ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

মসজিদের জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

লক্ষ্মীপুরে এক আমেরিকান প্রবাসীর স্বার্থ রক্ষায় মসজিদের জমির গাছপালা কেটে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান নান্নু জানান, শ্যামগঞ্জ-রসুলপুরের সরকারি রাস্তার কিছু অংশে নতুন করে মসজিদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় আমেরিকান প্রবাসী নিজের জমি রক্ষার্থে এ কাজটি করেছেন। কিন্তু কাজের শিডিউল অনুযায়ী নতুন কোনো স্থানে রাস্তা নির্মাণের কথা উল্লেখ নেই। পুরনো রাস্তাই নতুন করে পাকা করা হবে। মসজিদের জমির ওপর দিয়ে কোনো রাস্তা হবে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুরনো রাস্তাতেই কাজ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, জোরপূর্বক মসজিদের জমির ওপর থাকা গাছপালা কেটে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগে আমেরিকান প্রবাসী হাফিজ তোয়াহাসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গত বছরের ৬ অক্টোবর মসজিদের জমিদাতা শহীদ উল্যা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চললেও আসামিরা জোরপূর্বক ওই জমির ওপর দিয়েই রাস্তা নেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী হাফিজ শ্যামগঞ্জ গ্রামের শফি উল্যার ছেলে। তার জমি রক্ষার্থে মসজিদের ১০ শতাংশ জমির গাছপালা জোরপূর্বক কেটে রাস্তা করায় হাফিজ গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়ে। পরে তিনি ফের আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু তার অনুসারী তারেকসহ কয়েকজন যুবক জোরপূর্বক ওই জমিতে রাস্তা নির্মাণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে হাফিজ তোয়াহার সঙ্গে আমেরিকায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে মামলার বাদী শহীদ উল্যা বলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ শুক্রবার ছিল। মুসল্লিরা নামাজ পড়তে গেলে সুযোগ পেয়ে হাফিজ লোকজন দিয়ে মসজিদের জমির গাছপালা কেটে ফেলে। পরে এনিয়ে বাধা দিতে গেলে তারা মুসল্লিদের মারধরের হুমকি দেয়। নিজের জমি রক্ষায় হাফিজ মসজিদের জমি বেছে নিয়েছে। মসজিদের জমিগুলো আমরা পারিবারিকভাবে দান করেছি। ওই জমি রক্ষায় আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করাতে চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।