বগুড়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় স্থবিরতা!

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়ায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।

বুধবার (০১ এপ্রিল) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহরের বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তারপরও জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ভিড় করছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। কিন্তু সময় মত কর্মস্থলে চিকিৎসক আসছেন না। আবার আসলেও রোগী দেখছেন না ঠিক মত।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা বগুড়া শহরের জহুরুল নগরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তার এক বছর বয়সী শিশু সন্তান জ্বর নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খ্রিষ্টান মিশনারি হাসপাতালে।সেখানে ডাক্তার না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল ভর্তি করেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি করালেও বুধবার সকাল পর্যন্ত কোনো চিকিৎসক বা নার্স তার সন্তানকে দেখতে আসেনি।

হাসপাতালের বহিঃবিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বসে আছেন ডাক্তারের অপেক্ষায়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বহিঃবিভাগে চিকিৎসা দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বহিঃবিভাগে কোনো চিকিৎসককে দেখা যায়নি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও সেখানেও কোনো চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চিকিৎসক আসলেও তারা দূরত্ব বজায় রেখে রোগীর সমস্যা শুনে ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছেন।

এদিকে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ ডাক্তার চেম্বারে বসছেন না।

শহরের ইসলামী হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জুয়েল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চেম্বারে না বসায় রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। তিনি বলেন, ইসলামী হাসপাতালে ১২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মধ্যে ৯ জন চেম্বারে বসেন না। ৩ জন ডাক্তার সতর্কতার সাথে রোগী দেখছেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আরিফুর রহমান বার্তা ২৪.কম-কে বলেন, বহিঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে আসা রোগীদের জন্য আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।