করোনা: বন্ধ ঘরে গোপনে কাজ করেন সেলুন কারিগররা

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাদুল্লাপুর উপজেলার নাগবাড়ী বাজারের সেলুন কারিগর।

সাদুল্লাপুর উপজেলার নাগবাড়ী বাজারের সেলুন কারিগর।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকিতে রয়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নাগবাড়ী বাজারের সেলুন কারিগররা। তারা পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।

শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার ওই বাজারে বন্ধ ঘরের ভেতরে গোপনে সেলুন কারিগরদের কাজ করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সেলুন কারিগর জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের চাপে প্রায় সময়ই তাদের দোকান বন্ধ রাখতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে আয়-রোজগার করতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। করোনা সম্পর্কে সচেতন থাকা সত্ত্বেও জীবিকার তাগিদে গোপনে সেলুনে কাজ করছেন তারা। একই সঙ্গে গ্রাহকদের অনুরোধেও বাধ্য হচ্ছেন সেভ ও চুল কাটতে।

এদিকে, সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ হওয়ার আগে গাইবান্ধার কর্মজীবী মানুষরা ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। তারা মানছেন না সঙ্গরোধ। এ কারণে এলাকায় জনসমাগম বেড়েছে। এসব ঢাকা ফেরত মানুষরা ঈদ উৎসবের মতো সেভ-চুল কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

চুল কাটতে আসা স্থানীয় মোনারুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অধিকাংশ সেলুন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চুল-দাড়ি-গোফ বড় হয়েছে। করোনা সতর্কে নিজেকে পরিষ্কার রাখতে সেলুনে এসেছেন তিনি।

গাইবান্ধা সেলুন মালিক সমিতির এক সদস্য (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বার্তা২৪.কমকে জানান, সেলুন থেকে উপার্জনের টাকায় সংসার চলে। তাই দোকান একদমই বন্ধ রাখলে না খেয়ে মরতে হবে।