মিরসরাইয়ে আইসোলেশন ইউনিটের বেহাল দশা!

  • মোহাম্মদ ইউসুফ, মিরসরাই থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিট, ছবি: বার্তা২৪.কম

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিট, ছবি: বার্তা২৪.কম

মিরসরাইয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটের বেহাল দশা। আইসোলেশন কক্ষের ফটকে দরজার পরিবর্তে পর্দা টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। জানালায় পড়ে আছে ময়লা। নতুন করে ইউনিটটি খোলা হলেও চিকিৎসকদের পারসোনাল প্রটেকশন ইউনিট (পিপিই) নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে দুশ্চিন্তার।

সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তুত করা আইসোলেশন রুম পরিদর্শন করে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় উত্তর পাশের ৪টি বেড দিয়ে একটি ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে দরজা পরিবর্তে সাদা একটি পর্দা টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। কক্ষের ভেতর মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। বেডের উপর ময়লা পড়ে আছে। বাথরুমে ময়লা পানি জমে আছে। এছাড়াও বেসিনেও ময়লা জমে আছে। কক্ষটিতে শুধু ৪টি বেড ছাড়া আর কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামই দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন
দরজা পরিবর্তে সাদা একটি পর্দা টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে

এদিকে আইসোলেশন ইউনিটের জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) মাথার ক্যাপ, গগলস, গ্লাভস, সায়েন্টিফিক মাস্ক, জার্ম প্রুফ বডি কাভার অ্যাপ্রন, ওয়াটার প্রুফ প্যান্ট, কাভার জুতা এখনো সরবরাহ হয়নি। এ অবস্থায় সম্ভাব্য করোনা রোগী চিকিৎসায় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট নার্সরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪টি বেড নিয়ে ১টি ইউনিট খোলা হয়েছে। হাসপাতালের সব ডাক্তার আর নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম, মাস্ক, ক্যাপসহ পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুপমেন্টের চাহিদাপত্র সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো সরঞ্জাম আসেনি। আইসোলেশন কক্ষের ভাঙ্গা দরজা দ্রুত সময়ে মেরামত ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবেন বলেও জানান তিনি।

জানালায় পড়ে আছে ময়লা

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, করোনা মোকাবেলায় উপজেলায় একটি কমিটি করা হয়েছে। যেখানে সদস্য সচিব হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। ওই কমিটির অধীনে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২টি পৌরসভার মেয়রকে সভাপতি করে সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা প্রতিটি গ্রামে মেম্বার ও কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করবেন।

ভাইরাসের কারণে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস অনুষ্ঠান এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ছোট আকারে করা হবে। মাঠের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। উপজেলা সম্মেলন কক্ষে ছোট আকারে সমাবেশ করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।