করোনা মোকাবিলায় মৌলভীবাজারে কন্ট্রোল রুম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মৌলভীবাজার জেলায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে জেলা সদর হাসপাতালসহ জুড়ী, কমলগঞ্জ ও রাজনগর হাসপাতালে মোট ১০৫টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া জেলা সিভিল সার্জন অফিসে চার সদস্যর কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি সবকটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের এ রোগের আক্রান্ত যে কাউকে সেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সীমান্তে খোলা হয়েছে রোগ সনাক্তের সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম।

জেলাব্যাপী সরকারি হাসপাতালগুলোতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার তৌহিদ আহমদ সোমবার (৯ মার্চ) রাতে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বেড প্রস্তুত করা আছে। যদি কোনো আক্রান্ত রোগী পাই তাহলে তাদেরকে আমরা সেখানে চিকিৎসা করাব।’

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, সদর হাসপাতালে পাঁচটি বেড আছে। রাজ নগর, জুড়ী এবং কমলগঞ্জ হাসপাতালে আরও ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা আছে। শ্রীমঙ্গল সরকারি হেলথ কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে আরও ৮টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলার কুলাউড়া সীমান্তের চাতলাপুর স্থল বন্দর ও জুড়ীর বটুলী স্থল বন্দরে বর্ডার এলাকা দিয়ে আসা যাওয়ার মানুষদের পরীক্ষায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত রাখা হয়েছে। যাতে কেউ করোনায় আক্রান্ত ধরা পড়লে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা যায়।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার জেলাপ্রশাসককে সভাপতি সিভিল সার্জনকে সদস্য সচিব করে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।


সিভিল সার্জন বলেন, ‘ঋতু বদলের কারণে শীত শেষে গরম পড়েছে। এ কারণে অনেকের সর্দি কাশি হচ্ছে সেটা নিয়ে আতঙ্ক বা চিন্তার কিছু নেই। চিন্তার বিষয় হবে শুধু তারই যে বিদেশ থেকে এসে সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হবে। এরকম হলে আমাদের নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব সময় মাস্ক পড়ে থাকতে হবে না। কিন্তু সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।’