গণধর্ষণের পর বাড়ি ফেরার পথে ফের ধর্ষণের শিকার নারী: ৬ জনের যাবজ্জীবন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিরাজগঞ্জে নারী ধর্ষণ মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির ৪ আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার পার পাচিল গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে মো. রাসেল ওরফে রবিউল (২৫), ভাটপিয়ারী গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে সোহেল (২৬), একই গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রাজ্জাক (৪৪), পার পাচিল গ্রামের সুলতানের ছেলে নাজমুল (২৪), একই গ্রামের নুরু ওরফে নুর ইসলাম (২৬) ও আলতাফ কসাইয়ের ছেলে মোমিন (৩৪)।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল হামিদ লাবলু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার ভাটপিয়ারী গ্রামের মৃত আবু সাইদের মেয়ের (১৮) সঙ্গে রাসেলের প্রেম হয়। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল রাতে ওই ‍নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যমুনা নদীর ভাটপিয়ারী চরে আসতে বলে রাসেল। ওই নারী সেখানে গেলে রাসেল, রাজ্জাক, নাজমুল, নুরু ও সোহেল তাকে গণধর্ষণ করে। এতে নির্যাতিত নারী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আখ ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। ভোরে নির্যাতিত নারীর জ্ঞান ফিরলে বাড়ি ফেরার পথে অপর আসামি মোমিন তাকে একা পেয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।