শীতের প্রকোপে লেপ-তোষক বানানোর হিড়িক
পৌষের শুরুতেই গাইবান্ধা জেলায় হঠাৎ করেই শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে অসহনীয় শীত নিবারণ করতে লেপ-তোষক বানানোরও ধুম পড়েছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা শহরের সাবেক জেলা জজ অফিসের পরিত্যক্ত খোলা মাঠে গিয়ে দেখা গেলো লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা।
উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে দিন-রাত ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন গত কয়েক দিন ধরে জেলার সর্বত্র শীত জেঁকে বসেছে। তীব্র শীত নিবারণে গরম বস্ত্র ও লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
জানা যায়, একটি তোষক তৈরি করতে মজুরি, কাপড় এবং তুলাসহ এখন মোট ব্যয় পড়ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা। আবার জাজিম তৈরি করতে ব্যয় হয় ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আর লেপ কভারসহ তৈরি করতে ব্যয় হয় ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
লেপ বানাতে আসা খাজা মিয়া জানান, বাড়িতে পুরাতন লেপ আছে। এবারে তীব্র শীতের ফলে আবারও লেপ বানাতে এসেছেন। তবে অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে তাকে।
তোষক কিনতে আসা আজিজুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবারে তোষক বানাতে খরচ বেড়েছে। তবু শীত থেকে রক্ষা পেতে তোষক নিতে এসেছেন তিনি।
ধুনকর (লেপ-তোষকের কারিগর) মেহেদুল ইসলাম বলেন, একটি লেপ তৈরি করতে এখন মজুরি ২৫০ টাকা। এছাড়া তোষক ২২০ টাকা, বালিশ প্রতিটি ২৫ টাকা এবং জাজিম তৈরিতে ৪০০ টাকা হারে মজুরি নেয়া হচ্ছে। এই মজুরির হার অন্য সময়ের চাইতে কিছুটা বেশি।
গাইবান্ধা জেলা ধুনকর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মন্টু সর্দার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিশেষ করে শীতের মৌসুমে একজন ধুনকর দিনে ২ থেকে ৩টি লেপ এবং ৪ থেকে ৫টি তোষক তৈরি করতে পারে। শীতের মৌসুম ছাড়া অন্য সময় চাহিদা কম থাকায় অর্থাভাবে তাদের পারিবারিক জীবন জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।