সুন্দরগঞ্জে হলুদে সেজেছে সরিষার মাঠ

  • তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ, ছবি: বার্তা২৪.কম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দিগন্তজোড়া কৃষকের মাঠে হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। মাঠ ভরা হলুদ ফুল দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সুন্দরগঞ্জের মাঠে মাঠে সরিষা ফুলের সমারোহ। প্রকৃতির নির্মল বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাতাল করা ঘ্রাণ। হলুদ রঙের ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনও চোখে পড়ার মতো। এসব সরিষা ক্ষেতের সুবাসিত মৌ মৌ গন্ধ পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীদের হৃদয় পুলকিত করে তুলছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গেল বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি চাষ করা হয়েছে নানান জাতের সরিষা। এ ফসলটি স্বল্পমেয়াদি ও খরচ কম হওয়ায় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বেশি। এটি চাষ করে গাইবান্ধায় অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদল করতে
সক্ষম হয়েছেন।

তারা আরও জানান, বীজ বোনার ৯০ দিনের মধ্যে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। সরিষা চাষে সেচ ও রাসায়নিক সার অল্প প্রয়োজন হওয়ায় খরচও কম হয়। এতে লাভও ভালো হয়।

দিগন্তজোড়া কৃষকের মাঠে হলুদের সমারোহ।

এছাড়াও অনেক কৃষক মৌসুমের শুরুতেই সবজি হিসেবে সরিষা শাক বিক্রি করে নগদ টাকাও আয় করেন। তাছাড়া সরিষার পাতা জমিতে পড়ে সবুজ সার তৈরি হয়। যা বোরো চাষে জৈব সারের চাহিদা মেটায়।

সুন্দরগঞ্জের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছর ১০ হাজার টাকা খরচ করে সোয়া একবিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ১৫ হাজার টাকা লাভ করেছিলেন। এবার তিনি দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আশা করছি, গত বছরের তুলনায় এবারে চাষিরা সরিষার বাম্পার ফলন পাবে। কেননা সরিষা চাষিদের লাভবান করতে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছে।