বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষা অফিসারকে লিগ্যাল নোটিশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার

অভিযুক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯০ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকারকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সভাপতি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমানের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

বিজ্ঞাপন

লিগ্যাল নোটিশে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার এবং রুটিন মেইনটেন্যান্সে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি কাজ সম্পন্ন করে ব্যয় ভাউচার জমা দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাতে। কিন্তু ওই কাজের ভাউচারে চেক বইয়ে সই নিয়ে ৯০ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার।

এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমানসহ শিক্ষকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এতে ব্যর্থ হন তিনি।

অন্যদিকে, অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও বিল না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ পরিচালনা কমিটি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান। গত ৬ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল নোটিশ শিক্ষা অফিসার বরাবরে লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাধ্যমে পাঠানো হয়। দুই প্রকল্পের ৯০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রদান করে টাকা আত্মসাতের উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয় ওই নোটিশে।

লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ‘নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হবে।’

আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন। তবে ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।