মীর মশাররফের জন্মবার্ষিকীতে বাংলা একাডেমির কর্মসূচি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মীর মশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মীর মশাররফ হোসেন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল কালজয়ী উপন্যাস 'বিষাদ-সিন্ধু'র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীস্থল রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমী গ্রামে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর দুই দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলা একাডেমি।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মীর মশাররফ হোসেনের একক গ্রন্থমেলা। কর্মসূচির বিষয়টি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলা একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শেখ ফয়সল আমিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর বুধবার সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের ১৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিস্থলে বাংলা একাডেমি মীরের সাহিত্য ও কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রন্থমেলার আয়োজন করেছে।

বাংলার একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম। স্বাগত বক্তব্য দিবেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন ও একক বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লেখক ও গবেষক ড. ইসরাইল খান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান।

এ সময় মীর মশাররফের স্মৃতিকেন্দ্রে গ্রন্থমেলা ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। গ্রন্থমেলা চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় বাবা সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মা দৌলতন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মীর মশাররফ হোসেন। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর এখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। তার সমাধিস্থলেই রয়েছে তার ভাই মীর মোকাররম হোসেন ও দুই স্ত্রী বিবি খোদেজা বেগম ও বিবি কুলসুমের কবর।

তার লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০), ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আত্মকাহিনীমূলক রচনাবলী ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’ (১৯১০) অন্যতম। এছাড়াও বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বই লিখে গেছেন তিনি।