মেঘনা বেষ্টিত চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে বুলবুলের তাণ্ডব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বুলবুলের তাণ্ডবে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বুলবুলের তাণ্ডবে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুরে রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত (দ্বীপ) চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রায় ১০ মিনিটের তাণ্ডবে ইউনিয়নের অর্ধ-শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। মারা গেছে একটি গরু। আগে থেকেই মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ায় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত জেলার অন্য কোথাও কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে জেলার সর্বত্রই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামগতির চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের তেলির চর, চেয়ারম্যান বাজার ও কামাল বাজারে আঘাত হানে বুলবুল। প্রায় ১০ মিনিটের তাণ্ডবে অর্ধ-শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত, তিনজন আহত ও একটি গরু মারা গেছে। এ সময় কয়েকটি গাছও উপড়ে পড়েছে। আগে থেকেই স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে বড় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এখনো সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে মেঘনার পানি ২-৩ ফুট বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরাও এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থেকে প্রায় ছয় হাজার মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে আনা হয়েছে। এরমধ্যে তিন হাজার জন এখনো সাইক্লোন শেল্টারে আছেন। বাকিরা বাড়িতে চলে গেছেন। চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়। প্রত্যেককে শুকনো খাবার পরিবেশন করা হয়েছে।

চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, 'আমরা আগেই মানুষজনকে সরিয়ে নিয়েছি। প্রায় ১০ মিনিটের তাণ্ডবে ৪০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই-তিনজন আহত হয়েছে। সবাই নিরাপদ স্থানে রয়েছেন।'

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, 'চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নেই বুলবুল তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষ সুরক্ষিত আছে।'