ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা, তবুও যাচ্ছেন মানুষ

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল
  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আশ্রয় নেওয়া উপকূলবাসী, ছবি: ফাইল ফটো

আশ্রয় নেওয়া উপকূলবাসী, ছবি: ফাইল ফটো

বরগুনার ৬টি উপজেলায় সাইক্লোন শেল্টার বা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন উপকূলীয় বাসিন্দারা। তবে কিছু কিছু জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে যেতে অনীহা দেখাচ্ছেন অনেকে। তবুও ভয়কে সঙ্গী করে আশ্রয় নিতে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়া বাড়িতে চুরির ভয় এবং আশ্রয়কেন্দ্রে গবাদি পশু-পাখি রাখার সুযোগ না থাকায় অনীহা প্রকাশ করছেন অনেকে।

জানা গেছে, বরগুনায় ৩৪১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫০৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ৫ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত বরগুনায় প্রায় ২ লাখ মানুষ এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও সিপিপি’র কর্মীরা অধিক ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন এলাকাবাসী। ফলে ওই ভবনে আশ্রয় নিতে অনীহা প্রকাশ করেছেন এলাকার প্রায় ৩ হাজার মানুষ। একই উপজেলার ছোটভাই জোড়া মাদ্রাসা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে আশ্রয় নিতে অনীহা মনে করেছেন অনেক মানুষ।

বিজ্ঞাপন

এসব এলাকার বাসিন্দা শানু আকন, দেলোয়ার খান, নুর ইসলাম, জালালসহ একাধিক লোক জানান, দুর্যোগের সময় নাসির উদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আশ্রয় নিতে হয়। কিন্তু ভবনটি বাতাসে কাঁপে। তাই সেখানে তারা যেতে চান না। তাছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে গেলে বাড়িতে চুরির আশঙ্কা থাকে।

কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জলিল রাড়ি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-তে বলেন, ‘নাসির উদ্দিন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবন রক্ষায় সাধারণ মানুষদের সেখানে নেওয়া হয়। তবে বাড়িতে মালপত্র রেখে অনেকে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে চান না।’

এদিকে তালতলীর স্থানীয় সংবাদকর্মী হাইরাজ মাঝি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ছোটভাই জোড়া মাদ্রাসা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকে অন্য জায়গায় চলে গেছেন।’

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘যে যে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় সেখান থেকে সাধারণ মানুষদের খুব দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।’