বরগুনায় সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিচ্ছেন উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলবরগুনাসহ সাতটি উপকূলীয় জেলার জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পরপরই মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আসতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বরগুনায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। উপকূলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য দিনব্যাপী মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন জেলা পরিষদ ও প্রশাসন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে অবস্থানরত মানুষের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, বরগুনায় ৩৪১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫০৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ৫ লক্ষাধিক লোক আশ্রয় নিতে পারবে।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা, গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা, ২০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৫০ প্যাকেট খাবার পেয়েছেন। তারা আরও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রেখেছেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সদর উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ জানিয়েছেন, জেলায় ৬ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ব্রহ্ম জানিয়েছেন, জেলার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম কে জানিয়েছেন, বরগুনা থেকে সকল রুটের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশির ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে যারা ছিল, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছেন।
এদিকে, বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থানরত মানুষের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের শুকনো খাবার সরবরাহ করেছেন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য কাজ করছি।’