গাইবান্ধায় মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, ছবি: সংগৃহীত

উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়, ছবি: সংগৃহীত

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে ধাপেরহাট পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি (বালুয়া বাজার) এলাকায় বুলডোজার দিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

উচ্ছেদ অভিযানে কাটাখালি ব্রিজ ও বালুয়া বাজার এলাকার মহাসড়কের দু'পাশে গড়ে ওঠা কাঁচাপাকা ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাছসহ প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাহাবুবুর রহমান ফারুকী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজির হোসেন, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মাহাবুবুর রহমান ফারুকী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় মহাসড়কের গাইবান্ধার ৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় এক হাজার স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনে কাটাখালি ব্রিজ ও বালুয়া এলাকার প্রায় শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৩ দিন পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়া ঘোড়াঘাট ও সুন্দরগঞ্জ সড়কেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা সড়ক বিভাগের।’

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বার্তাটোন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ দখলদারকে বারবার অনুরোধ করে আসছিল। আইনি নোটিশ ও মাইকিংয়ের পরও এতদিন তারা কোনো কর্ণপাত করেননি।’