যৌতুকের অভিযোগে গোপালপুরের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান, ছবি: সংগৃহীত

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান, ছবি: সংগৃহীত

মোটা অংকের যৌতুক চেয়ে না পাওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রী শীলা খানম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় ইনামুল ছাড়াও তার ভাই মাহবুব আলম, ভাইয়ের স্ত্রী শার্মিলা বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) আসামিরা গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আবু জাফর মোল্যার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শীলা খানমকে এ বছরের ২৫ মে নানা ছলনায় বিয়ে করেন ইনামুল হাসান।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, বিয়ের সময় ইনামুল হাসান শ্বশুরের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নগদ যৌতুক আদায় করেন। স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেওয়ার কিছুদিন পর ফের আরও দুই লাখ টাকা নগদ দাবি করেন ইনামুল হাসান। যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য তিনি স্ত্রী শীলাকে চাপ দিতে থাকেন। পরে ইনামুল, তার ভাই মাহবুব আলম, ও ভাইয়ের স্ত্রী শার্মিলা বেগম তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর বিভিন্ন সময় ইনামুল ও তার ভাই মাহবুব মেয়ে পক্ষের কাছে মোটা অংকের টাকা, প্রাইভেটকার দাবি করে আসছিলেন। এই দাবি পূরণে অপারগতা জানালে ছেলেপক্ষ আরও ক্ষেপে যায় বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসব অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের কোনো পদে না থাকলেও ইনামুলের ভাই মাহবুব আলম ও তার খালাতো ভাই আবুল হাসান স্থানীয় পর্যায়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে অযাচিত হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন খাত থেকে উৎকোচ ও কমিশন আদায়ে কাজ করছেন। এসব অভিযোগও তদন্ত হচ্ছে।