টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক ঘেরাও

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক ঘিরে রেখেছে স্থানীয় জনতা, ছবি: সংগৃহীত

আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক ঘিরে রেখেছে স্থানীয় জনতা, ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক ঘেরাও করেছে স্থানীয় গ্রাহকরা। এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাপারহাটের ব্যাংক শাখাটি গ্রাহক ও এলাকাবাসী ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন স্থানের গ্রাহকরা চাপারহাটের আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি ব্যাংকের শাখায় (সঞ্চয়) টাকা জামা রাখতেন। এদিন বিকেল ৪টার দিকে কয়েকজন নারী ব্যাংকটিতে টাকা তুলতে আসেন। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইকবাল আজম ওই নারী গ্রাহকদের জানান, তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই।

এই ঘটনা জানাজানি হলে অন্য গ্রাহকরাও এ সময় ব্যাংকে এসে ভিড় জমান। তারা তাদের ব্যাংকে রাখা অর্থের ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যাংক থেকে তাদের একই কথা জানানো হয়। এই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

উত্তেজিত গ্রাহকরা আজিজ কো-অপারেটিভ ব্যাংক ঘেরাও করে ব্যাংক স্টাফদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ইকবাল আজম পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

এদিকে, ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার তদন্ত (ওসি) ফরহাদ মন্ডলের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান সকল গ্রাহক।

ভুক্তভোগী সুমন্ত রায়, শরিফুল ইসলাম, মিন্টু মিয়াসহ অনেকেই বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, গত চার মাস ধরে ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেও দেন না। সে কারণে বেশকয়েকজন মিলে অ্যাকাউন্ট চেক করতে গেলে দেখা যায় হিসাব নম্বরে কোনো টাকা নেই।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ব্যাংকে আর্থিক লেনদেন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করার খবর পেয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।