নতুন ঘর পেয়ে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে
নাম শ্রী শুকরা পাহান। প্রায় ৬০ বছর অন্যের জমিতে বসবাস করেছেন তিনি। কারণ তার নিজের কোনো জমি ছিল না। কিন্তু এখন আর তাকে অন্যের জমিতে থাকতে হয় না। সরকার তাকে নতুন ঘর করে দিয়েছেন। নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। কৃতজ্ঞ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামে গেলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের এ করেসপন্ডেন্টকে এসব কথা জানান শুকরা পাহান নিজেই। শুধুমাত্র শুকরা পাহানই নন, তার মতো প্রায় ৫শ ভূমিহীন পরিবার নতুন ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
মূলত দেশের একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না বর্তমান সরকারের এ নীতির সমর্থনে রানীশংকৈল উপজেলার খাসপুকুরের জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রায় ৫শ ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যার ফলে গৃহহীন, ভূমিহীন ও ছিন্নমূল মানুষরা পেয়েছে নতুন ঠিকানা।
রানীশংকৈল সহকারী কমিশনারের (এসিল্যান্ড) তথ্য মতে, চলতি বছর ঘনশ্যামপুর গ্রামে ২টি খাসপুকুর, মহেষপুর গ্রামে ১টি খাসপুকুর, ব্রক্ষ্মপুর গ্রামে ১টি খাসপুকুর, করনাইট গ্রামে ২টি ও গরকতগাঁও গ্রামে ১টি করে মোট ৭টি পুকুরপাড়ের ২০ একর জমি স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
নতুন ঘর পাওয়া লাকি বেগম, ইসরাত, আহম্মেদ আলীসহ আরও কয়েকজন জানান, একটা সময় নেকমরদ বাগানবাড়িতে থাকতেন তারা। পরে সেখান থেকে তাদের উঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর ঘনশ্যামপুরে তাদের খাস জমিতে টিন দিয়ে নতুন ঘর তুলে দিয়েছেন রানীশংকৈল এসিল্যান্ড।
তারা বলেন, ‘এখন আমাদের থাকার জন্য নিজেদের একটা জায়গা ও ঘর হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রানীশংকৈল উপজেলার এসিল্যান্ড সোহাগ সাহাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আমাদের এখানে বিদ্যুতের কোনো লাইন নেই। যদি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হতো তাহলে অনেক ভালো হতো।’
রানীশংকৈল উপজেলার এসিল্যান্ড সোহাগ সাহা জানান, এই ভূমিহীন পরিবারগুলোকে সরকারি বরাদ্দের টিন ও নগদ অর্থ দিয়ে নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে। আগামীতে তাদের জন্য আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কে.এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, সরকারি জমিতে, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই রানীশংকৈলে যত গৃহহীন পরিবার আছে তারা নতুন ঘর পাবে।