ফরিদপুরে জোড়া খুনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম, ছবি: সংগ্রহীত

নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম, ছবি: সংগ্রহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় পরিবারের পক্ষ থেকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজন কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাইচাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডু মাষ্টার বলেন, ‘২০১৬ সালে ৪ জুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। নির্বাচনের সময় হানিফ, হাসান গং আমার বিরোধিতা করে। তারপর থেকে হানিফ, হাসান গং আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিল।

এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আমাকে ও আমার পরিবারের নামে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে তারা। মামলাটি ইতোমধ্যে তদন্ত পূর্বক মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আর সে কারণেই হানিফ, হাসান গং আরও বেশি হিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠে।

এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ আগস্ট আমাদের পরিবারের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায় তারা। হামলায় আমার ছোট চাচা ব্যাংকার রওশন আলী ও চাচাতো ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় আমার পরিবারের আরও ১০ জন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত তুহিনের বোন ড. আসমা শহীদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে হানিফ, হাসান গং গুলি চালিয়ে দুইজনকে হত্যা করে এবং আহত করে আরও ৮ জনকে। আহতরা বর্তমানে ঢাকাসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে ফরিদপুর অগ্রণী ব্যাংক হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার শাখার অফিসার রওশন আলী ও মিরাজুল ইসলাম তুহিন মিয়া নিহত হন। এ ঘটনা আহত হয় আরও ১০জন। এই ঘটনায় ১১ আগস্ট নিহত রওশন’র ভাই ও নিহত তুহিনের পিতা রায়হান উদ্দিন মিয়া ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ মূল আসামি হানিফসহ ৫জনকে আটক করে।