কালোজিরা কৃষকের কাছে কালো সোনা!

  • শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা/ছবি: বার্তা২৪

কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা/ছবি: বার্তা২৪

নড়াইলের লোহাগড়ায় কৃষকদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে কালোজিরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মসলা জাতীয় এই ফসল উৎপাদনে অত্যন্ত আগ্রহী কৃষকেরা। কালোজিরা তাদের কাছে এখন ‘কালো সোনা’ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। 

এ বছর উপজেলাটিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে কালোজিরার চাষ হয়েছে। লোহাগড়ার আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য বেশ উপযোগীও। তাই কৃষকরা দিন দিন কালোজিরা চাষে ঝুঁকছেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে চাষ করা হচ্ছে অনেকটা দেখতে ধনিয়া গাছের মত দেখতে কালোজিরা। সাদা ফুলে ভরে গেছে মাঠ। মৌমাছিরা গুন গুন শব্দে মুখরিত করে তুলছে ক্ষেত, মধু আহরণে ব্যস্ত ওরা।

লোহাগড়া উপজেলার ইতনা পূর্বপাড়ার কৃষক ইসমাঈল শেখ জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে, তাই বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বিঘাপ্রতি আট মণ কালোজিরা উৎপাদন হয়ে থাকে। এক বিঘা জমিতে আবাদ করেছি, আশা করছি ভালো ফলন পাব।

আরেক কৃষক শৈলেন শিকদার বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ এবং মাঠকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছি।

কৃষক হিশাম চৌধুরী বলেন, আমার জমিতে কালোজিরা আবাদ করতে মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। যদি কোনো সমস্যা না হয় আর বাজার মূল্য ঠিক থাকে, তাহলে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।

কালিপদ সরকার বলেন, স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন কালোজিরা চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। আগামীতে কালোজিরার চাষ দ্বিগুণ পরিমান জমিতে ছড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তা ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

লোহাগড়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শিকদার ইমরানুর রহমান বলেন, এ উপজেলার মাটি কালোজিরা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কালোজিরার আবাদে। বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণে কৃষকদের মসলা জাতীয় ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে।