মোবাইল কিংবা কম্পিউটার যতই আমাদের জীবনের বড় একটা অংশ দখল করে থাকুক না কেন, টেলিভিশনকে কখনোই সরিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
প্রিয় ক্লাবের ফুটবল খেলা, প্রিয় দেশের ক্রিকেট খেলা, পছন্দের টিভি অনুষ্ঠান কিংবা হাল সময়ের নেটফ্লিক্সে পছন্দের সিনেমা বা ডকুমেন্টারি দেখতে হবে বড় পর্দাকেই বেছে নিতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ দর্শক।
তাইতো হাতে হাতে ফুল ফাংশন মোবাইল থাকার পরেও ঘরের দেয়াল জুড়ে বিশাল পর্দার টিভি থাকা অনেকটাই বাধ্যতামূলক। এই ২০১৯ সালে এসে শুধু বিশাল পর্দার ফ্ল্যাট স্ক্রিন টিভিই যথেষ্ট নয়, সেটা হওয়া চাই স্মার্টও। ইন্টারনেট সংযোগ সমেত এই স্মার্ট টিভি স্বাভাবিকভাবেই বেশ দামী হয়।
বিজ্ঞাপন
এই স্মার্ট টিভি হতে পারে এলএসডি, প্লাজমা কিংবা রিয়ার প্রজেকশন স্ক্রিনের। স্ক্রিন যেমনটাই হোক না কেন, পুরনো সময়ের বিশাল আকৃতির সিআরটি টিভি যেভাবে পরিষ্কার করা হতো, এই টিভিগুলো কিন্তু মোটেও সেভাবে পরিষ্কার করা যাবে না।
স্মার্ট সময়ের স্মার্ট ও সেনসেটিভ টিভি পরিষ্কারের ক্ষেত্রেও হতে হবে স্মার্ট। প্রিয় টিভিকে পরিষ্কার ও ধুলাবালিমুক্ত রাখতে মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ কাপড়ের সাথে এই কাপড়ের পার্থক্য হলো, নরম সুতি কাপড় ব্যবহারেও টিভি স্ক্রিনের উপরে স্ক্র্যাচ বা ঘষাভাব তৈরি হবে। কিন্তু মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহারে এই সমস্যাটি একেবারেই থাকবে না।
বিজ্ঞাপন
এই কাপড়ের সাহায্যে খুব আলতোভাবে টিভি পর্দার উপরে ও আশপাশের অংশ থেকে ময়লা সরিয়ে নিতে হবে। কাপড়ে পানি কিংবা কোন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা যাবে না। নতুবা স্ক্রিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অনলাইন ভিত্তিক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এলাকাস্থ দোকানে খোঁজ করলেও মিলবে দারুণ মাইক্রোফাইবার কাপড়।
প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন একটা সময় আসে, যখন আমরা নিজেদের জীবনটাকে ভাগ করে নেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। জীবনসঙ্গীর সুখের মধ্যে নিজের সুখ খোঁজে পাই। সঙ্গীর মন খারাপে নিজেই অশান্ত হয়ে যাই। অনেক সময় দেখা যায় সঙ্গী কোনো কারণে রেগে আছে, মেঘ জমে আছে তার মন আকাশে। আপনার সঙ্গে কোনো কথাই বলতে চাচ্ছে না, মুখ ভার করে আছে।l
এমন হলে ভেঙ্গে পড়ার কিছুই নেই। সম্পর্কের টানাপোড়নে প্রায় সবার সঙ্গে হরহামেশাই এটি ঘটে থাকে, যখন প্রিয় মানুষটিকেও মন খুলে সব বলা যায় না। যদিও, পরিস্থিতি এমন হলে তা বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। যত দ্রুত সম্ভব নিজেদের মান-অভিমান মিটিয়ে ফেলা উচিত। কেননা, প্রায়শই এমন তুচ্ছ কিছু বিষয় থেকে সম্পর্কে আসে তিক্ততা। এমন কি বিচ্ছেদও হতে পারে। সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই সঙ্গীকে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করাই ভালো। অল্প কিছু কৌশল অবলম্বন করে খুব সহজেই খুশি রাখতে পারেন আপনার সঙ্গীকে।
সঙ্গীকে খুশি রাখতে কিছু টিপস জেনে রাখুন-
ইগো দূরে রাখুন
এক সঙ্গে থাকার ফলে অনেক সময়ই দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। এমন হতেই পারে আপনি সঠিক, ভুলটা আপনার সঙ্গীর। কিন্ত আপনার সঙ্গী নিজের ভুলটা বুঝতে পারছে না। কিংবা নিজের ভুল বুঝেও চুপ করে আছে। বেশিরভাগ মানুষই এমন পরিস্থিতিতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে না। নিজেদের ইগো নিয়ে বসে থাকে। এমনকি কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায়নিজেদের মধ্যে। পরিস্থিতি এমন হলে নিজের ইগোকে প্রাধান্য না দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে । কথা বলে তার রাগের কারণটি খুঁজে বের করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
কথা শুনুন
মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা অনেক জরুরি। কথা বলার সময় মনোযোগ দিয়ে কেউ কথা শুনলে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। একসঙ্গে থাকার পরও যখন কেউ ফোন স্ক্রলিং কিংবা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকে এতে ক্রমাগত দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই আপনার সঙ্গী যখন কথা বলবে তখন তার দিকে মনোযোগ দিন। ঝগড়া না করে তার কথা শুনুন। প্রয়োজনে তাকে পরামর্শ দিতে পারেন। সঙ্গীর প্রতি আপনার মনোযোগের ফলে সঙ্গী নিজেকে মূল্যবান ভাবতে শেখে।
ক্ষমা চান
ক্ষমা চাওয়া আমাদের ব্যক্তি জীবনে একটি বিশেষ গুণ । আমরা সহজেই কেউ ক্ষমা চাই না। ক্ষমা চাইলেই আমরা ছোট হয়ে যাবো এমন কিছু ভেবে থাকি। এমন যারা ভেবে থাকেন, তাদের ধারণা সঠিক নয়। আপনার একটি ছোট সরি যদি কাউকে খুশি করতে পারে, তবে এতে আপনি কখনোই ছোট হবেন না। তাই ক্ষমা চাইতে শিখুন। সঙ্গীর নিকট ক্ষমা চেয়ে কেউ ছোট হয় না বরং সম্পর্ক আরও মধুর হয়।
ভালোবাসা প্রকাশ
সঙ্গীকে ভালোবাসুন! এমন অনেকেইিআছেন, যে সঙ্গীকে খুব ভালোবাসলেও তা যথাযথভাবে প্রকাশ করেন না। অনেক সময় আপনার ভালোবাসার গভীরতা সঙ্গী বুঝতেও পারে না। কাউকে ভালোবাসলে তাকে সেটা অনুভব করাতে হবে। বুঝাতে হবে তার প্রতি আপনার ভালোবাসা- অনুভূতি। তার যত্ন নিতে হবে। ছোট কিংবা বড় উপহার দিয়ে মাঝে মাঝে তাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন কিংবা কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন। তার সঙ্গে সময় কাটান। এভাবেই সঙ্গীর প্রতি আপনার ভালোবাসা সহজেই প্রকাশ করতে পারবেন।
অতীত সামনে না আনা
আতীতে যা কিছুই ঘটে থাকুক, বর্তমানে কখনো অতীত টেনে আনবেন না। মান-অভিমান হতেই পারে। চুপ থাকার চেষ্টা করুন, তখন নিজেদের সুখের সময়ের কথাগুলো ভাবুন। অতীতের এমন কোন বিষয় সামনে আনবেন না যাতে বর্তমানে এর প্রভাব পড়ে। অতীতের তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সম্পর্কে টানা- পোড়নের সৃষ্টি হয়। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে সঙ্গীর অতীত নিয়ে কথা এড়িয়ে চলুন।
হাসানোর চেষ্টা করুন
হাসলে নাকি মন ভালো হয়ে যায়! তাই সঙ্গীকে হাসানোর চেষ্টা করুন। কোনো কারণে রাগ করে থাকলে তাকে হাসিয়ে রাগ ভাঙ্গাতে পারেন। এভাবে নিজেদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করে তুলুন। সঙ্গী হাসতে না চাইলেও এমন কিছু করুন যাতে সে হাসতে বাধ্য হয়। কেননা, সুস্থ মননেই সুস্থ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কোন চাকরি কিংবা কারো সঙ্গে পরিচিত শুরু হওয়ার প্রথম ধাপ হলো সাক্ষাৎকার। শুরুতেই আপনি নিজেকে যত ভালোভাবে উপস্থাপন করবেন, চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বা আপনার পরিচিতি পর্ব ততই মধুর হবে।
সাক্ষাৎকারের কোন পুঁথিগত নিয়ম না থাকলেও কিছু অলিখিত বিষয় রয়েছে। যেগুলো ভালোভাবে উতরাতে পারলেইে আপনার জন্য অনেক কিছুই সহজ হয়ে যাবে। ক্ষেত্র বিশেষে সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। কাজেই এসব পরিস্থিতি থেকে নিজেকে নিজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সাক্ষাৎকারে যারা একেবারেই নতুন কিংবা যাদের জীবনে প্রথম সাক্ষাৎকার তারাই একটু বেশি সমস্যায় পড়েন। যেকোন সাক্ষাৎকারে আপনার বেশ কিছু বিষয় তারা খেয়াল করে থাকে। মনোবিজ্ঞান অনুসারে, প্রথম সাক্ষাৎতেই লোকেরা আপনার সম্পর্কে যে ৫টি বিষয় লক্ষ্য করে সেগুলো হচ্ছে-
আপনার পোষাক
প্রথমবার কারো সাথে দেখা করা কিংবা সাক্ষাৎকার নিয়ে অনেকেই খুব চিন্তিত হয়। কিন্তু একটু বাড়তি সচেতন হলেই ভালো কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু আপনি কী বলছেন তা নয়, আপনার বলার ভঙ্গি, আত্মবিশ্বাস এমনকি পোশাকও তাদের দৃষ্টির বাহিরে নয়। তাই সাক্ষাৎতের পূর্বেই ঠিক করে রাখতে হবে আপনি কোন পোষাক পরিধান করবেন? পোষাক দামী বা অল্প দামী এটা কোন বিষয় না। সবথেকে বড় বিষয় আপনি সেই পোষাকে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। একইসঙ্গে পরিহিত পোষাকটি হতে হবে মার্জিত। সাক্ষাৎকার অনুযায়ী আপনাকে পোষাক নির্বাচন করতে হবে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো অনেক সময় বড় ভূমিকা রাখে।
আপনার দাঁত
অনেকেই মনে করেন সুস্থ উজ্জ্বল দাঁতের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফোটে ওঠে। আপনি কীভাবে আপনার দাঁতের যত্ন নেন তার ওপর নির্ভর করে বিচার করা হয় আপনার ব্যক্তিত্ব। সাদা এবং সুস্থ দাঁতের অধিকারী যে কাউকেই আকর্ষণীয় মনে হয়। দাঁতে সামান্য দাগের মতো ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে মানুষ ধরে নিতে পারে, যে আপনি খুব একটা যত্নবান নন।
আপনার কথা বলার ধরণ
আপনি যেভাবে কথা বলেন তা আপনার শিক্ষা এবং ব্যক্তিত্বকে প্রতিফলিত করে। স্পষ্টভাবে বিষয় অনুযায়ী কথা ব্যক্তির জ্ঞান এবং পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে। এতে তাদের কাছে আপনাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। তবে স্পষ্টভাবে বলতে ব্যর্থ হলে, তাদের কাছে আপনি অযোগ্য মনে হতে পারেন। লোকেরা আপনাকে অশিক্ষিত বা এমনকি অসংগঠিত ভাবতে পারে।
আপনার আত্মবিশ্বাস
লোকেরা আপনার দক্ষতাকে কীভাবে দেখে তার মূল চাবিকাঠি হলো আপনার আত্মবিশ্বাস। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো, চোখের দিকে তাকানো এবং স্পষ্টভাবে কথা বলাই বেশিরভাগ মানুষ আপনাকে যোগ্য এবং দায়িত্বশীল হিসেবে দেখবে। আপনি হয়তো এমনটা অনুভব করেন না, কিন্তু আত্মবিশ্বাস আপনাকে বিশ্বস্ত এবং যোগ্য করে তোলে। আপনার ঝুঁকে পড়া এবং চোখের দিকে না তাকিয়ে থাকা তাদের ভাবাতে পারে যে আপনার যোগ্যতার অভাব আছে অথবা আপনি আত্মবিশ্বাসী নন।
আপনার কাজের একাগ্রতা
যেকোন প্রতিষ্ঠান দক্ষ লোকের পাশাপাশি,কাজের প্রতি একাগ্র ব্যক্তিকে এগিয়ে রাখে। কোন ব্যক্তি কাজে দক্ষ কিন্তু কাজের প্রতি একাগ্র না, তাহলে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। সাক্ষাৎকারে তারা বিভিন্ন ভাবে জানার চেষ্টা করবে যে আপনার কাজ করার ইচ্ছা শক্তি কেমন। যেকোন পরিস্থিতিতে আপনার কাজ করার ক্ষমতা আছে কিনা! সাক্ষাৎকারে পরিশ্রমী এবং কাজে একাগ্র ব্যক্তিরাই এগিয়ে থাকে।
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি’র নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে বিশ্বজুড়ে। কোভিড-১৯ এর মতো এই ভাইরাসটিও চীনে প্রথম শনাক্ত করা হয়। এরপর জাপানেও এইচএমপিভি ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং বাংলাদেশেরও এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও আমাদের দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিস্থিতি তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। করোনার মতোই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকলে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে জটিলতা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই আগে থেকেই এই ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে যারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জানতে হবে এবং সচেতন গতে হবে। কারা এইচএমপিভির কবলে পড়ার ঝুঁকিতে বেশি রয়েছেন এবং কীভাবে রক্ষা পেতে পারেন তা ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় চিকিৎসক আশিস নন্দী। যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন- ১. নবজাতক এবং শিশু: শিশুরা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে স্বাভাবিকভাবেই অন্যান্য রোগ সহ এইচএমপিভিতেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উচ্চঝুঁকিতে থাকে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা এইচএমপিভি’তে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের আগে জন্ম নেওয়া অর্থাৎ, প্রিম্যাচিউর বাচ্চারা হাইপোক্সিয়া এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে থাকে। ২. বয়স্ক: বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বৃদ্ধরাও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। এইচএমপিভি সিওপিডি বা হার্টফেইলরের সম্ভাবনাকে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. গুরুতর রোগাক্রান্ত: হাঁপানি, ডায়াবেটিস, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার রোগীরা এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়বে। এমন ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৪.অপুষ্টি: অপুষ্টি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠতে পারার মূল কারণ। যে সকল মানুষরা ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না তারা অপুষ্টির শিকার। তাই সুবিধাবঞ্চিত এবং দরিদ্র পরিবারের সদস্যরাও তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এইচএমপিভি ভাইরাস অতি ভয়ানক রূপ নেওয়ার আগেই একে প্রতিহত করতে হবে। প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়লেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ নির্ণয় হলে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলেও মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। এছাড়া যদিও এখনো এইচএমপিভির টিকা আবিষ্কার হয়নি, তবে অবশ্যই টিকা আবিষ্কার হলে আগে উচ্চঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা সরবরাহ করতে হবে।
ডায়াবেটিস অর্থাৎ সুগার রোগ আজ খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। যেকোন একটি পরিবারের দু-একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অতি সাধারণ ঘটনা। তবে ডায়াবেটিসকে সাধারণ কোন রোগ মনে করার কোন কারণ নেই। অযত্ন কিংবা বেখেয়ালে হতে পারে মারাত্মক কিছু। নিয়মিত ব্যায়াম আর খাবারের প্রতি সচেতন হলে রোগীরা একদম সুস্থ থাকে।
খাদ্যাভ্যাস এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার কারণে ডায়াবেটিস অর্থাৎ সুগার রোগ আজ খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। ডায়াবেটিসে খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। খাবারের তারতম্যের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব দ্রুতই বেড়ে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে পুরো শরীরে। তাই বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আজ আমরা ডায়াবেটিস রোগীদের এমনই একটি খাবার 'ডাল' নিয়ে কিছু তথ্য জানাবো। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন ডাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং কোন ডাল এড়িয়ে চলা ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব ডাল এড়িয়ে চলতে হবে
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস হলে প্রায় সব ডালই খাওয়া যেতে পারে। তবে তা খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। কিছু ডাল রয়েছে যা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে। তার মধ্যে কালো ছোলার ডাল, রাজমা এবং সাদা ছোলা অন্যতম। এগুলো সহজে হজম হয় না ফলে পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। কালো ছোলার ডাল অতিরিক্ত খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। এগুলোতে থাকা উচ্চ ক্যালোরির ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়তে পারে।
সুগারের সমস্যায় এই ডালগুলো খুবই উপকারী
কালো ছোলার ডাল বাদে অন্য সব ডাল সীমিত পরিমাণে খেলে সমস্যা নেই। তবে কিছু ডাল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুগ, ছোলার ডাল। প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিনের মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপাদান এই সব ডালে পাওয়া যায়। যা শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নয় সকলের স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী।