রাজশাহী মহানগরী রামচন্দ্রপুরের কালুমিস্ত্রির মোড় এলাকার বাসিন্দা এটিএম জহির হোসেন তমাল। সৌখিন খামারি হিসেবে রাজশাহীজুড়ে তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে তিনি নিজের খামারে উন্নত জাতের ছাগল পালন শুরু করেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ওই বছর থেকেই নিজ হাতে পালন করা বড় জাতের খাসি কোরবানি দিয়ে আসছেন তিনি। প্রতিবছর তিনি রাজশাহীর সবচেয়ে বড় খাসি কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির আগে স্থানীয় মানুষও দেখতে আসেন তমালের বড় খাসি।
সেই ধারাবাহিকতায় এবারও সৌখিন খামারি এটিএম জহির হোসেন তমাল ৯৫ কেজি ওজনের খাসি কোরবানি দেবেন। আদর করে যার নাম রেখেছেন 'কানু'। কানুর গায়ের রং খয়েরি। বাজারমূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা। খামারি তমাল জানান, বৃটল জাতের কানু’র প্রিয় খাবার বুট, কলা, পাউরুটি, গম প্রভৃতি।
এটিএম জহির হোসেন তমাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, "২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যতোগলো খাসি কোরবানি করেছি, ওজনের দিক থেকে এবারের খাসি 'কানু' চতুর্থ। ২০১৮ সালে সবচেয়ে বড় খাসি নিজ হাতে পালন করে কোরবানি করেছি। হাংক নামের ওই খাসির ওজন ছিল প্রায় ১২০ কেজি। তার আগের বছর ২০১৭ সালে ১০০ কেজি ওজনের 'বিসু' কোরবানি করা হয়।"
রাজশাহীর একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত সৌখিন খামারি এটিএম জহির হোসেন তমালের নেশা উন্নত জাতের ছাগল পোষা। যার মধ্য থেকে সবচেয়ে বড়টি তিনি কোরবানি করে থাকেন।