তবে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এ সামরিক শাসক। এরপর জেলও খাটতে হয় তাকে।
তবে প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এ সামরিক শাসক। এরপর জেলও খাটতে হয় তাকে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর লাঠির আঘাতে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা। এরআগে গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ কাঠগড়া গ্রামে এই হত্যার ঘটনার পরই অভিযুক্ত দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
৭০ বছর বয়সী নিহত বৃদ্ধ আব্দুল খালেক (ভোলা) ওই গ্রামের মৃত্যু আছর প্রামাণিকের ছেলে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আলম মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী রেখা বেগমক (৩০)। তারা দুজন সম্পর্কে নিহত বৃদ্ধের নাতী ও নাতী বউ হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাতে নিহত আব্দুল খালেকের উঠানে রেখা বেগমের ছোট বাচ্চার পায়খানা ফেলে। এ নিয়ে প্রথমে রেখা-আলম দম্পতি ও আব্দুল খালেকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে স্বামী আলম ও তার বউ রেখা বেগম লাঠি দিয়ে আব্দুল খালেকের মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধ আব্দুল খালেক মারা যান। পরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ওই স্বামী-স্ত্রীকে বেদম মারপিট করে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে আহত আলমকে চিকিৎসার জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পরে এ ঘটনায় গতকাল রাতেই আলম ও তার স্ত্রী রেখা বেগমকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে সাজু মিয়া (৪৭)। ওই মামলায় তাদের স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাতে হত্যা মামলা হয়েছে। জড়িত স্বামী-স্ত্রী দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, ঘটনায় জড়িতদের স্থানীয়রা হাতে-নাতে ধরে মারধর করেছে। তাতে আসামি আলম আহত হওয়ায় গতকাল রাতেই পুলিশি হেফাজতে তাকে সুন্দরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আজ রিলিজ হওয়ার কথা রয়েছে। রিলিজ দিলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
বগুড়া, ঠাকুরগাঁও ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন আদালতে ২০০ জন সরকারি আইন কর্মকর্তা যথা সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০৭ জন বগুড়ায়, ২১ জন ঠাকুরগাঁও এবং ৭২ জনকে ঝিনাইদহের আদালতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম (টুকু) ও মো. আব্দুল বাছেদ।
ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।
ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. মোকাররম হোসেন টুলু ও এসএম মশিয়ুর রহমান।
রোববার (২০ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর উইং থেকে এ সম্পর্কিত তিনটি নিয়োগাদেশ জারি করা হয়।
পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে নিজ নিজ জেলার জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে 'ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮' এর ৪৯২ ধারা এবং 'দ্য লিগ্যাল রিমেমব্রেন্সার্স ম্যানুয়াল, ১৯৬০' এর ২ নং অধ্যায়ের ১নং অনুচ্ছেদের বিধি ৯ এবং ৬ নং অনুচ্ছেদের বিধি ১৭ এর বিধান অনুযায়ী তাদেরকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এই নিয়োগাদেশে, জেলা তিনটির জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এদের অধীন আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জজ আদালতে এর আগে নিয়োগ করা সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয় তাহলে নাম হবে ডানা। আবহাওয়া সংস্থার ঘূর্ণিঝড় অ্যালার্ট অনুসারে, আগামী ২৩ অক্টোবর সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেটি ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোনো উপকূলে আঘাত হানে সেক্ষেত্রে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত করে তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৮ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলো। তবে ঘূর্ণিঝড়টি যদি ভাটার সময় উপকূলে আঘাত করে তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।
অন্যদিকে যদি ভারতের ওড়িশা অভিমুখে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে এর বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৫০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ওড়িশা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। বুধবার থেকে তিন দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। ২৩ তারিখ শক্তি বাড়িয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে বলে । এমন হলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকা, নিচু এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১৫ দিনব্যাপী ট্রাফিক পক্ষ। এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ট্রাফিক পক্ষ-২০২৪ এর উদ্বোধন করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম উপস্থিত থাকবেন।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ, ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, দর্শনীয় স্থানে ব্যানার স্থাপন, ট্রাফিক সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
পাশাপাশি শ্রমিক ও বাস মালিক প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, বিএনসিসি সদস্য ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ট্রাফিক পক্ষ সুন্দর ও সফলভাবে আয়োজনে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ কামনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।