১৬ বয়সীদের কেউ টানা ২৮ দিন জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজে অংশ নিলে তাকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে একটি মাউন্টেন বাইক। এমনই এক ঘোষণা দিয়েছে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অবস্থিত ‘মসজিদ কামারুল ইসলাম’ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে তুরস্কের বিখ্যাত শহর ইস্তাম্বুলের ফাতেহ জেলার সুলতান সেলিম কর্তৃপক্ষ ৪০ দিন ফজরের নামাজে অংশগ্রহণকারীদের পুরুস্কৃত করেছিল। সেখান থেকেই তারা এই ধারণাটি পেয়েছেন।
এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন ইমরান ও জুবায়ের নামের দুই তরুণ। তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ১ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ১৬ বছর কিংবা এর থেকে কম বয়সী যে কেউ নিয়মিত ফজরের নামাজে অংশ নিলে তাকে পুরস্কার হিসেবে একটি নতুন মাউন্টেন বাইক দেওয়া হবে।
পুরস্কার হিসেবে মাউন্টেন বাইক দেওয়ার করাণ হলো, যারা নতুন সাইকেল চালাতে শেখেন, তাদের সাধারণত মাউন্টেন বাইক চালাতে উৎসাহিত করা হয়। মাউন্টেন বাইকে সাসপেনশন থাকে, যার কারণে ঝাঁকি কিছুটা কম হয়। গতি ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করাও অপেক্ষাকৃত সহজ।
উদ্যোক্তাদের অভিমত, মসজিদে কিশোর ও তরুণদের অংশগ্রহণের জন্য এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য বার্মিংহামে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক অংশগ্রহণকারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আজ ৬ দিন হলো- প্রথম দিন থেকে ফজরের নামাজে অংশ নেওয়াদের কেউ অনুপস্থিত থাকেনি।
মসজিদে নামাজে অংশগ্রহণের জন্য তরুণদের উৎসাহিত করার লক্ষে এমন কর্মসূচি ইংল্যান্ডে এটাই প্রথম।
অনেক শিশু-কিশোরের মা-বাবা এমন কর্মসূচিতে বেশ খুশি। তারা বলছেন, পুরস্কার বড় কথা নয়, আমাদের বাচ্চারা এতে উৎসাহিত হচ্ছে, জামাতে অংশ নিচ্ছে; সেটাই বড় বিষয়।
আয়োজকদের প্রত্যাশা, এমন উদ্যোগের ফলে কিশোরদের মাঝে নামাজের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
জামাতে নামাজ আদায়ের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রচুর হাদিস রয়েছে।
এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত জানতো, তাহলে তাদেরকে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ওই নামাজদ্বয়ে আসতো।’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
অন্য এক হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সঙ্গে) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করলো- তার জন্য দু’টি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হলো- ১. জাহান্নাম হতে ও ২. মুনাফিকি হতে মুক্তি।’ -সহিহ বোখারি