হিজরি প্রথম শতকে নির্মিত সেমনান মসজিদ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানে প্রচুর ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এসব নিদর্শনের অন্যতম হলো- সেমনান জামে মসজিদ। এটি ইরানের একটি ঐতিহাসিক ও মূল্যবান স্থাপনা।

ইরানের সেমনান প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহরে হিজরি প্রথম শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি সেমনানের প্রাচীনত্ব ও ঐতিহাসিকতার প্রমাণ বহন করে। সেমনানের সর্বপ্রাচীন ইসলামি নিদর্শন হিসেবে এই মসজিদটিকে ধরা হয়।

কালের পরিক্রমায় মসজিদে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন ও সংস্কারকাজ হয়েছে। তবে মসজিদের বর্তমান কাঠামোতে তৈমুর এবং মুঘল আমলের একটা নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

মসজিদটি যে অনেক পুরোনো, তার প্রমাণ মেলে এর মিনারটিতে। মিনারটি বত্রিশ মিটার উঁচু। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে এই মিনারটি অবস্থিত। হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

/uploads/files/fN9n27pcUwNnENgtrhKi46jIiA3NjCVHhWctAZA6.jpeg

মিনারের গায়ে কুফি অক্ষরে লেখা লিপিকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ইটের কারুকাজও বেশ দর্শনীয়। সেমনান জামে মসজিদের এই মিনারটি সালজুকি মিনার নামেও প্রসিদ্ধ।

সালজুকি শাসনামলে নির্মিত ঐতিহাসিক মিনারগুলোর অন্যতম এবং ইরানের জাতীয় নিদর্শনের তালিকাভুক্ত।

ইরানের সেমনান প্রদেশে পা-দেহ নামে একটি গ্রাম রয়েছে, ওই গ্রামের বয়স ৩ হাজার বছরের মতো।

ওই গ্রামের জলাধার ও পুরোনো কেল্লা নিয়ে গবেষণা করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা গ্রামের বয়স ৩ হাজার বছর বলে অনুমান করেছেন। গ্রামের বালুচর, প্রাচীন গুহা যা ‘সল্ট টানেল’ হিসেবে পরিচিত।

ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সেমনান প্রদেশের সোরখেহ শহরের বাসিন্দা।