আজকে জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। আর হারলে সিরিজে ড্র (১-১)। এমন সমীকরণের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে জয়ের জন্য আইরিশদের ২৭৫ রান করতে হবে।
এদিন বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। ৪৫ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৭ রান করেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩৫ রান করে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস।
রোববার (১৪ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৬১ বলে ক্যারিয়ারের ৫৬তম ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। একদিনের ক্রিকেটে তার ১৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
এই ম্যাচে অভিষেক হয় রনি তালুকদারের। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুললেও বেশি দূর যেতে পারেননি। ১৪ বলে ৪ রানেই ফেরেন।
এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৪৪ ও ১১৭ রানের ইনিংস খেলা শান্ত এদিন ফেরেন ৩২ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৫ রানে।
৬৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন তামিম-লিটন। তৃতীয় উইকেটে তাড়া ৭৬ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ০ ও ২১ রানে আউট হওয়া লিটন এদিন ফেরেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করে। তার বিদায়ে ২৩.৩ ওভারে ১৩৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। জর্জ ডকরেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরে এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ২৭ ও ৬৮ রানের ইনিংস খেলা হৃদয় এদিন ফেরেন ১৬ বলে ১৩ রানে।