বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে আইরিশরা। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শতক হাঁকান শান্ত। শেষদিকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম। এই জয়ের ফলে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৩২০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল এদিন দলকে ভালো শুরু এনে দিতে ব্যর্থ হন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ব্যাট হাতে বড় রান আসে নি লিটন-সাকিবের ব্যাট থেকেও। দলের তিন তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। চাপ সামলে খেলতে থাকেন দারুণ সব শট। শান্ত ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান, হাফ সেঞ্চুরি করেন হৃদয়ও। তাদের বিদায়ে ম্যাচ কিছুটা জমে উঠলেও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে চড়ে শেষ অবধি দুর্দান্ত এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
এর আগে, টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে স্টার্লিংকে ফেরান তিনি। টাইগাররা নিজেদের দ্বিতীয় সাফল্য পায় হাসানের হাত ধরেই। এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার মেহেদী মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে শুরুর চাপ সামলে দুর্দান্ত জুটি গড়েন অধিনায়ক বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
৫৭ বলে ৪২ রান করে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।
একপ্রান্ত আগলে রাখা টেক্টরকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। দুই ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে টাইগার বোলাররা। তাদের দুজনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।
টেক্টর বিদায় হলেও রানের চাকা সচল রাখেন ডকরেল। এই ব্যাটার ৩ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৪৭ বলে ৭৪ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে দুই উইকেট লাভ করেন হাসান মাহমুদ দুই। এছাড়া ৮৩ রান দিয়ে দুই উইকেট পান শরিফুলও।